রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিঘার সমুদ্রে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হল পর্যটকের। রবিবার সকালে সমু্দ্র থেকে উদ্ধার হয় দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাটুলি থানা এলাকার বাঘাযতীনের বাসিন্দা ৮ যুবক দিঘা যায়। রবিবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নামে ৮ জনই। সেই সময়ই সঞ্জয় নস্কর নামে এক যুবক তলিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তাঁর সঙ্গীরা কেউই বিষয়টি খেয়াল করেনি। এরপর সঞ্জয়কে ভাসতে দেখে সম্বিত ফেরে তাঁর বন্ধুদের। তাঁরাই সঞ্জয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
অন্যদিকে, একইদিনে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ৫ যুবক দিঘায় বেড়াতে আসেন। রবিবার দুপুরে দিঘার ক্ষণিকা ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল তাঁরা। সেই সময় আচমকা ইন্দ্রনীল নামে এক যুবক ডুবে যায়। নুলিয়া ও পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
বুলবুলের প্রভাব আশঙ্কা করে শনিবারই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। মৎসজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়। যাঁরা সেই সময় সমুদ্রে ছিলেন, তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়। দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি, তাজপুর-সহ উপকূলবর্তী সমস্থ পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হয়। শনিবার সকাল থেকেই সমুদ্রের আশপাশ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়। রবিবারও জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। তা অমান্য করেই এদিন সমুদ্রে নেমেছিল এই যুবকেরা। তার জেরেই এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.