বিক্রম রায়, কোচবিহার: গতবারের তুলনায় মোট পাশের হার কমেছে। কিন্তু মাধ্যমিক মানেই জেলার দাপট। এই প্রবাদ বেশ কয়েক বছর ভাঙতে পারেনি কলকাতা। এবারও মোট পাশের হারে সবথেকে বেশি এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর। কিন্তু নজর এবার কেড়েছে উত্তরবঙ্গ। বিশেষ করে কোচবিহার জেলা। প্রথম দশে অভাবনীয় ফল করেছে উত্তরবঙ্গের এই জেলা। এই জেলা থেকেই প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে সঞ্জীবনী দেবনাথ। তবে কেবল সঞ্জীবনীতেই সীমাবদ্ধ নয় কোচবিহারের সাফল্য। আসল চমক অন্য পরিসংখ্যানে। প্রথম দশের তালিকায় ন’টি স্থানেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন কোচবহারের মেধাবী পড়ুয়ারা।
[টেক্সট বই পড়েই সাফল্য, মাধ্যমিকে প্রথম হয়ে উচ্ছ্বসিত কোচবিহারের সঞ্জীবনী]
যে নয় পড়ুয়া প্রথম দশে জায়গায় করে নিয়েছেন তাদের নাম যথাক্রমে-
- প্রথম স্থান- সঞ্জীবনী দেবনাথ – সুনীতি অ্যাকাডেমি – প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯
- তৃতীয় স্থান- ময়ূরাক্ষী সরকার – সুনীতি অ্যাকাডেমি – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮৭
- পঞ্চম স্থান- অঙ্কিতা দাস – সুনীতি অ্যাকাডেমি – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮৫
- ষষ্ঠ স্থান- সুমিত বাগচি – দিনহাটা হাই স্কুল – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮৪
- সপ্তম স্থান- মহাশ্বেতা হোমরায় – মনীন্দ্রনাথ হাই স্কুল – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮৩
- অষ্টম স্থান- দেবস্মিত রায় – রামভোলা হাই স্কুল – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮২
- নবম স্থান- ঐতিহ্যা সাহা – সুনীতি অ্যাকাডেমি – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮১
- দশম স্থান- বৈদূর্য বিশ্বাস – মাথাভাঙা হাই স্কুল – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮০
- দশম স্থান- সুমন কুমার সাহা – মাথাভাঙা হাই স্কুল – প্রাপ্ত নম্বর – ৬৮০
উল্লেখযোগ্যভাবে জেলায় সবথেকে বেশি ভাল ফল করেছে সুনীতি অ্যাকাডেমি। স্কুলের চার পড়ুয়া ঠাঁই পেয়েছে প্রথম দশে। স্কুলের এই সাফল্যে বেজায় খুশি প্রধান শিক্ষিকা মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘বরাবরই সুনীতি অ্যাকাডেমির মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু ২০১৩ সালের এই প্রথম কেউ স্কুল থেকে প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। আর এতজন যে এমনটা করবে তা ভাবতে পারিনি।’ জেলার এই সাফল্যের নিরিখে সুনীতি অ্যাকাডেমির পরই রয়েছে মাথাভাঙা হাই স্কুল। সেখান থেকে দুই পড়ুয়া দখল করেছে দশম স্থান।
ছবি- দেবাশিস বিশ্বাস
[কমল পাশের হার, মাধ্যমিকে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দাপট জেলার]