জোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: অলৌকিক উপায়ে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল দম্পতির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর আরামডাঙা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ১ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরজনের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, দুই অভিযুক্ত লতা বেগম ও কামাল সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন তারা। সপ্তাহ দুয়েক আগে বনগাঁ হাসপাতালে ওই দম্পতির সঙ্গে পরিচয় হয় বনগাঁর বাসিন্দা সোমা হালদারের। কথায় কথায় সোমাদেবীর সঙ্গে ভাব জমিয়ে নেয় ওই দম্পতি। দম্পতির কথায় বিশ্বাস করে নেন ওই বধূ। এরপরই শুক্রবার ওই বধূর বাড়িতে বেড়াতে যান বাংলাদেশের বাসিন্দা ওই দম্পতি। সেখানে গিয়ে তারা জানান যে, অলৌকিক উপায় দ্বিগুণ করার পদ্ধতি তাদের জানা রয়েছে। বিশ্বাস করে ওই দম্পতির হাতে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা তুলে দেন হালদার দম্পতি। মন্ত্র পাঠ করে প্যাকেটে মুড়ে টাকাটি একটি পাথরের উপরে রাখে লতা ও কামাল। এরপর সেখান থেকে চলে আসে অভিযুক্তরা। এরপরের দিন হালদার দম্পতি প্যাকেটটি খুলতেই দেখতে পান তাতে কাগজ ভরা।
এরপরই হালদার দম্পতি বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযুক্তদের হাতে নাতে ধরতে ফের টাকার লোভ দেখানো হয় বাংলাদেশি ওই দম্পতিকে। টাকা নিতে ঘটনাস্থলে আসতেই লতা বেগমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত কামাল। সোমা হালদার বলেন, “ওনারা ভাল মানুষ সেজে এমনভাবে আত্মীয়তা করল, প্রতারক বুঝতে পারিনি। সংসারে অভাব রয়েছে, তাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার কথা শুনে আগ্রহী হয়েছিলাম।” তবে তাঁদের এই প্রতারণার কায়দায় হতবাক পুলিশও। অভিযুক্তের সঙ্গে আর কারও যোগ রয়েছে কি না তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.