Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুরুলিয়া

হেফাজতে পুরুলিয়ার বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর! অভিযোগ অস্বীকার পুলিশের

তৃণমূলের সভায় 'অশান্তি' করতে পারে বলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

A BJP leader in Purulia tortured in police custody, sparks debate
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 15, 2019 2:55 pm
  • Updated:December 15, 2019 9:53 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তৃণমূলের সভায় ‘অশান্তি’ পাকাতে পারেন বিজেপি নেতারা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে শনিবার পুরুলিয়ার বলরামপুরের রাঙাডি গ্রামের ২০৪ নম্বর বুথের সভাপতি-সহ তিন বিজেপি নেতাকে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে ওই বিজেপি নেতাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। যদিও পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই পুরুলিয়ার বলরামপুর বিজেপির দাপট বেড়েছে। পাশাপাশি এই এলাকায় তিন বিজেপি কর্মী খুনও হয়েছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। শুক্রবার বলরামপুরের পাশের মহকুমা বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূলের সভা ছিল। সেই সভায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের আসার কথাও ছিল। রাঙাডি গ্রামের কাছে সেই নেতাদের নাকি কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনা  নিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে বুথ সভাপতি বাপি গড়াই, চৈতন্য সিং সরদার, বিকাশ গড়াইকে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করে পুলিশ। রাত ন’টা নাগাদ তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ট্রেন ঘোষণায় বিভ্রাট, যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল খড়গপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম RPF]

কিন্তু হেফাজতে থাকাকালীন বাপি গড়াইকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে জখম বুথ সভাপতি বাপি গড়াই বলেন, “মারতে মারতে তিন-চারটে লাঠি ভেঙে ফেলে পুলিশ। বিজেপি ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে থাকে পুলিশ কর্মীরা।” হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাপিকে বলরামপুরের দাসগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তাঁর সারা শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মারের চোটে দুপা ফেটে গিয়েছে বলেও খবর। রবিবার তাঁকে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো হাসপাতালে রেফার করা হয়।   

Advertisement

[আরও পড়ুন : উচ্চশিক্ষায় ইংরেজির পাশাপাশি থাকুক ভারতীয় ভাষাও, দাবি RSS-এর শিক্ষক সংগঠনের

যদিও পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সিলভামুরগান বলেন, “ওঁরা অশান্তি পাকাতে পারে বলে, আমাদের কাছে খবর ছিল। তাই ওঁদের ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করা হয়। পুলিশি হেফাজতে মারধর করা হয়নি। তবু অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক  বাণেশ্বর মাহাতো বলেন, “বলরামপুর এখন গেরুয়া ঘাঁটি। ওখানে তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই পুলিশকে দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই এলাকায় বারবার বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর প্রতিবাদে বলরামপুরে আন্দোলনে নামব আমরা।” সোমবার বিজেপির তরফে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন বাণেশ্বর মাহাত।     

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ