Advertisement
Advertisement

Breaking News

শুটআউট

রানাঘাটে শুটআউট, নিহত ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু চাপানউতোর

অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

A bussinessman allegedly murdered in Nadia's Ranaghat
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 12, 2019 4:11 pm
  • Updated:October 12, 2019 4:13 pm

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: মুদি ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার রানাঘাটে। শুক্রবার রাতে ক্রেতা সেজে দোকানে গিয়ে বিক্রেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই হরলালবাবুর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের তরফের দাবি করা হচ্ছে, হরলালবাবু তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

[আরও পড়ুন: মাটির তলা থেকে উঁকি মারছে মহিলার হাত, সামনে এগিয়ে যেতেই হাড়হিম স্থানীয়দের]

নদিয়ার রানাঘাট থানার কলাইঘাটার বাসিন্দা হরলাল দেবনাথ। বাড়িতেই একটি মুদি দোকান রয়েছে তাঁর। স্ত্রী চন্দনা ও হরলালবাবু দু’জনে মিলেই দোকান দেখাভাল করতেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ এক যুবক তাঁর দোকানে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দোকানের সামনে বসে সে। এরপর হরলাল বাবুর স্ত্রীর কাছে বাদাম চায় ওই যুবক। সেই সময় দোকানের বাইরে ঝাঁট দিচ্ছিলেন হরলালবাবু। বাদাম না থাকায় ওই যুবকে চানাচুর দেয় চন্দনাদেবী। সিগারেটও কেনে সে। অভিযোগ, এরপরই আচমকা হরলালবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই যুবক। শব্দ পেয়ে চন্দনাদেবী দেখেন স্বামীর পিঠ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তিনি চিৎকার করতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক।

Advertisement
nadia-murder-2
মৃতের পরিবার

এলাকার বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় হরলালবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতের পরিবার। অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। নদিয়া দক্ষিণের বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বলেন, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী হরলালবাবু। ভোটে দলের হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। ওঁনার হাত ধরেই জেলায় কর্মী সংখ্যা বেড়েছে। সেই কারণেই তৃণমূল পরিকল্পনামাফিক খুন করিয়েছে ব্যবসায়ীকে। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, মৃত ব্যবসায়ী তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। সেই কারণেই বিজেপি কর্মীরা তাঁকে খুন করেছে।

Advertisement

ছবি: সুজিত মণ্ডল

[আরও পড়ুন: দাঁতালদের ‘অনুপ্রবেশ’ রুখতে বর্ধমানের বনাঞ্চলে বসছে ৪টি ওয়াচ টাওয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ