Advertisement
Advertisement
Couple body police Birbhum

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতির রক্তাক্ত দেহ, ডাকাতিতে বাধা পেয়েই খুন? বাড়ছে ধোঁয়াশা

পরিচিত কেউ খুনের সঙ্গে জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Couple's body recovered from their house in Birbhum's Luvpur ।Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 25, 2020 3:24 pm
  • Updated:September 25, 2020 4:20 pm

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: মাথা থেঁতলে বৃদ্ধ দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুন। বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে ঠিবা পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণ পাড়া গ্রামের এই ঘটনায় হতবাক সকলেই। শুক্রবার সকালে পুলিশ বাড়িতে ঢোকার মূল দরজা ভেঙে তাঁদের নিথর দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, লুটপাটের উদ্দেশ্যে কেউ হয়তো এসেছিল। তাদের বাধা দিতে গিয়েই খুন হতে হয়েছে ওই দম্পতিকে। তবে বাড়িতে ঢোকার মূল দরজা বন্ধ থাকায় ধন্দ আরও বেড়েছে। তবে কী পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বেশ ভোর ভোর ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী স্বপ্নার। শুক্রবার বেলা বাড়লেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের। তাই প্রতিবেশী এক মহিলা সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দরজা ধাক্কা দেন। তবে ডাকাডাকিতেও সাড়া মেলেনি কারও। তিনি আশেপাশের আরও লোকজনকে খবর দেন। খবর পাওয়ামাত্রই এলাকারই বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার এক যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তিনিই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাইরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। দেখেন ভিতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন চট্টোপাধ্যায় দম্পতি (Couple)। গোটা ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পুলিশ বুঝতে পারে দু’জনেই মারা গিয়েছেন। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। দেহ দু’টির পাশ থেকে ভারী ধাতব বস্তু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেই তাঁদের খুন করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনামুক্তির পর বাধ্যতামূলক যক্ষ্মা পরীক্ষা, নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের]

কিন্তু কী কারণে অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী এবং শিক্ষিকাকে নৃশংসভাবে খুন করা হল? তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবার। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কও খুবই ভাল ছিল। যে কোনও সময় প্রতিবেশীদের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন তাঁরা। আর্থিক সাহায্যও করতেন ওই দম্পতি। কী কারণে মিশুকে ওই দম্পতি খুন হলেন, তা বুঝতে পারছেন না তাঁদের প্রতিবেশীরাও। বৃদ্ধ দম্পতির ছেলেও বুঝতে পারছেন না খুনের কারণ। তিনি অবশ্য বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন না। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে ছাদের দু’টি দরজার মধ্যে একটি খোলা ছিল। সেখান দিয়েই কেউ ঘরে ঢুকে নৃশংসভাবে বাবা-মাকে খুন করেছে। কিন্তু কে বা কারা এই কাজ করতে পারে সে বিষয়ে কারও বিরুদ্ধেই নিশ্চিতভাবে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারছেন না তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চার দেশে বাড়ি! মুর্শিদাবাদে গরুপাচার চক্রের পাণ্ডার সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ