শাহজাদ হোসেন ও নন্দন দত্ত: কয়লা কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ব্যবসায়ী খুনে ২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধেয় বীরভূমের দুবরাজপুরের শালনদীর পাড়ে বালির ভিতর থেকে কম্বলে মোড়া ওই ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের বন্ধু এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারীরা।
বীরভূমের জামুড়িয়ার বাসিন্দা এরশাদ খানের থেকেই ব্যবসার জন্য কয়লা কিনতেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সফিকুল। সেই কারণে ২২ নভেম্বর ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে সফিকুল জামুড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। সফিকুলের স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিনের কথায়, “আমার স্বামীর খবর না পেয়ে জামুড়িয়ায় ওর বন্ধু এরশাদ ওরফে কাট্টুর বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের ফোন সুইচড অফ ছিল। ওদের বাড়িতেও তালা ঝুলছিল।” শামিমার অভিযোগ, পুলিশ তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। এরপরই মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন তিনি।
তদন্তে নেমে সোমবার জামুড়িয়া থানার পুলিশ শাল নদীর ধারে বালির স্তুপ থেকে মৃত ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে। এরপরই আটক করা হয় মৃতের বন্ধু এরশাদ ও তার স্ত্রীকে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে পড়ে কাট্টু ও মদিনা বিবি খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, এরশাদ ও তার স্ত্রী মদিনা সফিকুলকে মুখ, হাত পা বেঁধে খুন করে বালিতে পুঁতে দিয়েছিল। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, ১২ লক্ষ টাকা হাতাতেই ওই ব্যবসায়ীকে খুন করে অভিযুক্তরা।
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে দেহ পাঠানো হবে বাড়িতে। ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যুতে কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে গোটা পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.