Advertisement
Advertisement

কলেজ ছাত্রীদের দেখে প্রকাশ্যেই হস্তমৈথুন যুবকের, পাকড়াও অভিযুক্ত

ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা৷

A man arrested by police in Katwa allegation for musterbating infront of girls
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 13, 2019 7:44 pm
  • Updated:September 13, 2019 7:44 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: কলেজ ফেরত ছাত্রীদের দেখার জন্য আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকত বছর বত্রিশের যুবক। কোনও কটূক্তি করত না। মেয়েদের কাছে ঘেঁষার কোনও চেষ্টাও করত না। তার নেশা ছিল কেবল একটাই৷ মেয়েদের দেখে প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন বা স্বমেহন করত ওই যুবক৷ তার এই বিকৃতকাম আচরণে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল পড়ুয়ারা। স্থানীয়দের অভিযোগ জানায় তারা৷ আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার অভিযুক্তকে পাকড়াও করল এলাকাবাসী।

[ আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বেসিক পে বৃদ্ধি ]

Advertisement

শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার পাওয়ার হাউসপাড়ায়৷ অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, প্রথমে অভিযুক্তের স্বমেহনের দৃশ্য গোপনে মোবাইলে ক্যামেরায় বন্দি করেন একজন। তারপর সম্প্রতি তা হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই ভিডিও থেকেই যুবককে চিহ্নিত করা হয়৷ শুক্রবার পাওয়ার হাউসপাড়ার কাছে ঘোরাঘুরি করার সময়, তাকে পাকড়াও করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মানব পণ্ডিত। তার বাড়ি কাটোয়ার ন’নগর গ্রামে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। গত ৫ সেপ্টেম্বর, তার স্বমেহনের ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ কাটোয়ার কলেজ পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায় অভিযুক্ত যুবক একটি বাড়ির পাশে দাড়িয়ে, কলেজ ফেরত ছাত্রীদের দেখতে দেখতে স্বমেহন করছে। আশপাশের বাড়ির দরজা-জানালা খোলা থাকলেও সে নির্বিকার রয়েছে। কাটোয়া কলেজের বেশকিছু ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজে থেকে ফেরার সময় প্রায়দিনই তারা গলির মধ্যে ওই যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখত। ছাত্রীদের দেখলেই ওই ধরনের আচরণ শুরু করে দিত সে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: গৃহবধূর সঙ্গে ফেসবুকে প্রেম, পরিবার সম্পর্ক না মানায় আত্মঘাতী যুগল ]

জানা গিয়েছে, শুক্রবার পাওয়ারহাউস পাড়ায় অভিযুক্তকে দেখতে পেয়ে, তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কাছে নিয়ে আসা হয়। এরপর কয়েকজন ছাত্রীকে ডেকে দেখানো হয়৷ তারাই অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য৷ এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১ বছর আগে বিয়ে হয়েছে অভিযুক্তের। বাড়িতে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। পুলিশের কাছে অপরাধও স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ