নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: দেনার দায়ে কিডনি বিক্রির চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ধর্ম্মপুরের বাসিন্দা মনোতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি রেডিমেড পোশাক তৈরির কারখানা ছিল। তবে তাতে লোকসান হওয়াতেই ধার মেটাতে পারছেন না ওই ব্যক্তি। বর্তমানে প্রায় সাত লক্ষ টাকা ধার নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মনোতোষ। তাই বাধ্য হয়ে কিডনির বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসায়ী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
২০১৫ সালে বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে লোন নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ধর্ম্মপুরের বাসিন্দা মনোতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি পোশাক তৈরির কারখানাও খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নোটবন্দি এবং জিএসটি চালুর পর থেকে ব্যবসা ধুঁকতে শুরু করে। ওই বেসরকারি সংস্থার লোন শোধ করতে অন্যত্র থেকে আরও টাকা ধার করেন ব্যবসায়ীরা। তার জেরে ক্রমশই তাঁর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে সেলাই মেশিন বিক্রি করে পাওনাদারদের টাকা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঋণের বোঝা এতটাই বেশি কোনওভাবে সামাল দিতে পারেননি তিনি।
বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সংসারে মনোতোষ পরিবারে একমাত্র রোজগেরে। তাঁর বৃদ্ধ বাবা মাঝেমধ্যে পূজার্চনা করেন। ছেলে অরিন্দমের খরচ চালাতে হত তাঁকেই। তবে শেষ কয়েকমাস আর টিউশন পড়াতে পারছিলেন মনোতোষ। স্ত্রীর গলব্লাডারে স্টোন থাকা সত্ত্বেও তাঁর অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি মনোতোষ। বর্তমানে সাত লক্ষ টাকা মতো তাঁর দেনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী অসীমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে দিশেহারা বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি। তাই বাধ্য হয়ে কিডনি বিক্রির কথা ভাবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দু-একজনের সঙ্গে কথাও বলেছেন তাঁরা। তবে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই জানাজানি হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.