Advertisement
Advertisement
গঙ্গারামপুর

পুরসভায় অন্তর্দ্বন্দ্বের মাঝেই উধাও কাউন্সিলররা, থমকে গঙ্গারামপুরের নাগরিক পরিষেবা

কাউন্সিলরদের উধাও হওয়ার নেপথ্যে জেলা তৃণমূল সভাপতির হাত আছে বলে অভিযোগ৷

A number of Councilors go missing in Garampur, South Dinajpur
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 16, 2019 11:16 am
  • Updated:July 16, 2019 11:16 am

রাজা দাস, বালুরঘাট: রহস্যজনকভাবে একসঙ্গে উধাও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। যার জেরে নাগরিক পরিষেবা থমকে যাওয়ার মুখে৷ আশঙ্কায় পুর এলাকার নাগরিকরা। চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের বিবাদে গঙ্গারামপুর পুরসভায় এই অচলাবস্থা বলে দাবি নাগরিকদের।

[আরও পড়ুন: দরিদ্র পড়ুয়াদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াল টিএমসিপি, হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে ব্যতিক্রমী ছবি]

গঙ্গারামপুর পুরসভায় ১৮ জন কাউন্সিলর। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়েই ২০১৫-এ বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। সম্প্রতি তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে এই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর সঙ্গে। জেলা সভাপতি প্রশান্ত মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। মনে করা হচ্ছে, অর্পিতার নির্দেশেই পুরসভার ৯ জন কাউন্সিলর প্রশান্ত মিত্রর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন৷ পরবর্তীতে প্রশান্ত আবার তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়া ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করেছেন দায়িত্ব থেকে। এদিকে  এখনও আস্থা প্রমাণ করেননি চেয়ারম্যান৷ আর এই টানাপোড়েনেই বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর উধাও হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।  

Advertisement

গঙ্গারামপুরের মানুষজনের কথায়, ‘লেবার কার্ড করাতে ভাইস চেয়ারম্যানের সই প্রয়োজন। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান নেই। ফলে সেই কাজ হচ্ছে না। এছাড়া বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর দিন কয়েক ধরে এলাকা থেকে উধাও। ফলে সাধারণ পরিষেবা নিয়ে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। দাবিও তোলা যাচ্ছে না৷’ গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রর দাবি, ‘পুর-আইন অনুযায়ীই আমি ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারকে অপসারণ করে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি। গত কয়েকদিন ধরেই ভাইস চেয়ারম্যান পুরসভায় অচলাবস্থা তৈরি করে রেখেছেন। ফলে এলাকাবাসীর জন্য উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কাজের জন্য যাঁরা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে আসতেন, তাঁদের সঙ্গেও উনি খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষ ওঁর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ করতেন। তাই ভাইস চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা কাটমানি ফেরতের দাবিতে পোস্টার]

তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের বিরুদ্ধে সরাসরি তিনি অভিযোগ করেন, ৯ জন কাউন্সিলর ও তাঁদের পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছেন। যাতে ওই কাউন্সিলাররা তাঁর পাশে না থাকতে পারেন। অন্যদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ পালটা বলেন, ‘নানা দুর্নীতির কাজে জড়িত চেয়ারম্যান। তাঁকে অপসারণ করতে অনাস্থা ডেকেছেন কাউন্সিলররা। একটু সময় লাগলেও তাঁরা এই চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেই উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদান করবেন।’ এসব তরজার মাঝে ৯ কাউন্সিলরের আচমকা উধাও হয়ে যাওয়া রহস্য বাড়িয়ে তুলছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ