বাবুল হক, মালদহ: ফের রাজ্যে প্রাণ গেল ডেঙ্গু আক্রান্তের। এবার ঘটনাস্থল মালদহের গাজোল। দিনকয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতালেই মারা যান তিনি। পরিবারের দাবি, তাঁর রক্তপরীক্ষায় ডেঙ্গুর প্রমাণ মিলেছিল। যদিও মালদহের জেলাশাসক মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গু মানতে নারাজ।
সুরেন সরকার নামে ওই ব্যক্তি মালদহের গাজোলের বাসিন্দা। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রথম প্রথম রাতের দিকে অতিরিক্ত জ্বর আসত তাঁর। দিনকয়েক এলাকার দোকান থেকে কেনা ওষুধ খেয়েই সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে তাতেও লাভ কিছু হয়নি। পরিবর্তে অসুস্থতা আরও বাড়ে। এরপর প্রায় দিনভর জ্বরে ভুগতে থাকেন সুরেশ। পরিবারের লোকজনেরা প্রথমে এলাকারই এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন। তবে তাতেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তাই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে রাস্তায় অত্যন্ত যানজট থাকায় ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়নি সুরেশকে। তাই তাঁকে ১২ সেপ্টেম্বর মালদহের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বেশ কয়েকদিন ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসার পরই মারা যান সুরেশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, তাঁর রক্তপরীক্ষায় ডেঙ্গুর প্রমাণ মিলেছিল। তাতেই মারা গিয়েছেন সুরেশ। যদিও জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কথা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “আমার জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তা শুনিনি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
দিনকয়েক আগে বিধাননগরে এক যুবতী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শহর থেকে শহরতলি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু। একের পর এক ডেঙ্গু আক্রান্ত দুশ্চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের কপালে। পুরসভাগুলির তরফে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারও চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.