Advertisement
Advertisement

Breaking News

শিশুর গায়ে গরম খিচুড়ি

ডিম চাওয়ার ‘অপরাধ’, শিশুর গায়ে গরম খিচুড়ি ঢালল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী

শিশুর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷

A student allegedly tortured by school teacher at Murshidabad
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 25, 2019 12:34 pm
  • Updated:May 25, 2019 12:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়ির সঙ্গে একটা ডিম বেশি চেয়েছিল৷ এটাই ছিল বছর তিনেকের খুদের ‘অপরাধ’৷ শাস্তিস্বরূপ শিশুর প্যান্টের ভিতর গরম খিচুড়ি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে৷ নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের খিদিরপুর৷ অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি রয়েছে৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষক এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে৷

[ আরও পড়ুন: মমতার আন্দোলনের সিঙ্গুরেই ফুটল পদ্মফুল, ধাক্কা তৃণমূলের]

কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল৷ সেভাবে কিছুই খাওয়া হয়নি৷ অভ্যাসের বশে কাঁধে ব্যাগ এবং হাতে কৌটো নিয়ে রওনা হয়েছিল স্কুলের উদ্দেশ্যে৷ বছর তিনেকের খুদে স্কুলে গিয়ে বই খুলে বসেছিল৷ কিন্তু বুঝতে পারে খিদে পেয়েছে৷ অঙ্গনওয়াড়ির নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খিচুড়ি পেয়েছিল শিশুটি৷ মিলেছিল একটি ডিম৷ কিন্তু তাতে মন ভরেনি তার৷ তাই আরেকটি ডিম চায়৷ কিন্তু শিশুর দাবি শুনে চটে যায় অঙ্গনওয়াড়ির এক কর্মী৷ অভিযোগ, ওই মহিলা শিশুর প্যান্টের ভিতর খিচুড়ি ঢেলে দেয়৷ শরীরে নিম্নাংশ প্রায় সম্পূর্ণই পুড়ে যায় তার৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে ভরাডুবি তৃণমূলের, জেলা নেতৃত্বের ভূমিকায় দলের অন্দরে অসন্তোষ]

সাধারণত সকাল ৯টায় ছুটি হয় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের অঙ্গনওয়াড়িতে৷ শিশুটিকে তাঁর মা অঙ্গনওয়াড়িতে দেওয়া-নেওয়া করেন৷ কিন্তু এদিন বেশ কিছুটা আগেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে একরত্তি৷ দুচোখে জল ভরে গিয়েছে তার৷ প্রথমে কিছুই বাড়িতে বলতে চায়নি সে৷ এরপর খুদে আধো আধো গলায় মাকে বলেন, ‘‘এক দিদিমণি তার প্যান্টে গরম খিচুড়ি ঢেলে দিয়েছে৷’’ একথা শুনেই অঙ্গনওয়াড়িতে ছুটে যান শিশুর পরিজনেরা৷ তবে তখন শিক্ষিকারা এই ঘটনায় কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি৷ তড়িঘড়ি শিশুকে কোলে নিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা৷ সেখানেই আপাতত ভরতি রয়েছে সে৷ খুদের নিম্নাংশ প্রায় পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে৷ এই ঘটনায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যে অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষক এবং কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে৷ এই ঘটনাটি যে শুনছেন, সেই শিউরে উঠেছেন৷ কীভাবে একজন মহিলা এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা নিয়েই চলছে জোর আলোচনা৷  

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ