Advertisement
Advertisement
সাব ইনস্পেক্টর

সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা, জাতীয় সড়কে মৃত্যু কর্তব্যরত সাব ইনস্পেক্টরের

চালক-সহ ওই গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ৷

A sub inspector of Durgarpur allegedly hit and run in saturday night
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 25, 2019 9:20 am
  • Updated:August 25, 2019 5:36 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হল এক সাব ইন্সপেক্টরের৷ শনিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের গোপালমাঠের কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। চালক-সহ ওই গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ৷

[আরও পড়ুন: মাঝরাতে বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীদের গুলি, আসানসোলে খুন তৃণমূল কাউন্সিলর]

জাতীয় সড়কে প্রায় বেশিরভাগ দিনই যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকতেন ওয়াড়িয়া ফাঁড়ির তপন মাঝি নামে ওই সাব ইনস্পেক্টর৷ শনিবার রাত ন’টা নাগাদও সেখানেই ছিলেন তিনি৷ যান নিয়ন্ত্রণের সময় তিনি দেখেন গোপালমাঠ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের কাছে একটি ট্রেলার থেকে বেশ কয়েকটি তারের কয়েল পড়ে গিয়েছে৷ তা তুলতে লরি প্রায় মাঝরাস্তাতেই দাঁড় করিয়ে দেন চালক৷ তাতেই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে তৈরি হয় ব্যাপক যানজট৷ বেশ কিছুটা রাস্তা জুড়ে গাড়ির পর গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়৷

Advertisement

ASI

Advertisement

যানজটের জেরে জাতীয় সড়কে একাধিক গাড়ির যখন লম্বা লাইন, তখন সমস্ত বাধা অতিক্রম করে প্রায় ওই লরিটির কাছাকাছি চলে আসে একটি পিকআপ ভ্যান৷ কোনও বাধা না মেনে গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক৷ সেই সময়ই সাব ইনস্পেক্টর তপন মাঝিকে বেপরোয়া গতির গাড়ি দিয়ে পিষে দেয় ওই চালক৷ রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান তিনি৷ মাথার পিছনে গভীর ক্ষতও তৈরি হয় পুলিশ আধিকারিকের৷ তড়িঘড়ি দুর্ঘটনায় জখম সাব ইনস্পেক্টরকে উদ্ধার করেন তাঁর সহকর্মীরা৷ সিটি সেন্টারের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ ততক্ষণে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সব থানা ও ফাঁড়ির আধিকারিকরা৷ তবে শেষরক্ষা হল না৷ জবাব দিয়ে দেন চিকিৎসকরা৷ তাঁরা জানান, ততক্ষণে মারা গিয়েছেন সাব ইনস্পেক্টর৷ দুর্ঘটনার জেরে অত্যধিক রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷

ASI

[আরও পড়ুন: লাগাতার যৌন নির্যাতনের শিকার কিশোর, পুলিশের জালে প্রতিবেশী যুবক]

সাব ইনস্পেক্টর তপন মাঝি বার্নপুরের চিত্রা সিনেমাহল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা৷ স্ত্রী এবং শিশুকন্যাও রয়েছে তাঁর৷ বাড়িতে মৃত্যুসংবাদ পৌঁছতেই উঠেছে কান্নার রোল৷ একে স্বামীর মৃত্যুশোক আবার তার উপর একা একা কীভাবে শিশুকন্যাকে বড় করে তুলবেন, এই ভাবনা আপাতত রাতের ঘুম কেড়েছে নিহতের স্ত্রীর৷
ছবি: উদয়ন গুহ রায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ