ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলা ও তাঁর সন্তানদের মারধর করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার পুরাতন বাজার এলাকায়। ইতিমধ্যেই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর মহিলা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বারুইপুর থানার পুরাতন বাজারের বাসিন্দা মৃণাল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়ের। ওই দম্পতির একটি পুত্র ও এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। গত ২৩ জুন শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় মিলনবাবুর। স্ত্রী ইন্দ্রাণী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর ২৫ জুন তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, ননদাই এবং তাদের সন্তান-সহ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। গোটা বিষয়টি জানিয়ে তখনই বারুইপুর থানায় অভিযোগ করেন ইন্দ্রাণীদেবী। চাপে পড়ে সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতেও চলে যান। এরপর ১৯ আগস্ট ফের শ্বশুরবাড়ি যান তিনি। সেখানে গেলে পুনরায় তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। অভিযোগ, এরপরই তাঁর ননদাই একটি গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ইন্দ্রাণীদেবীকে খুনের চেষ্টা করে। ননদ, শ্বশুর ও শাশুড়ি সেই কাজে অভিযুক্তকে সহযোগিতাও করে।
প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন ওই মহিলা। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দুই শিশুও। এরপর কোনওরকমে সন্তানদের নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন ইন্দ্রাণীদেবী। পরে খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকজন গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দ্রাণীদেবীকে। চিকিৎসার পর বুধবার ফের বারুইপুর মহিলা থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি দখলের অভিসন্ধিতেই তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ, ননদাই। একাধিকবার তাঁকে খুনের চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বধূর অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর মহিলা থানার পুলিশ। এখনও পলাতক অভিযুক্তরা।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.