Advertisement
Advertisement

Breaking News

আমফান

‘প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল, খুব আঘাত পেয়েছি’, আমফান ইস্যুতে মন্তব্য মমতার

হাওড়ায় টিনের চাল ভেঙে মৃত্যু কিশোরীর।

mamata Banerjee said storm amphan smashed west bengal

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 20, 2020 8:44 am
  • Updated:May 21, 2020 8:59 am

করোনা আবহেই দেশের পূর্বপ্রান্তে হানা দিচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বাংলার। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিককালের যে কোনও সাইক্লোনের চেয়েও আমফানের রূপ এবং শক্তি অনেক বেশি ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা-সহ বাংলার ৭ জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চলবে সুপার সাইক্লোনের। ক্ষতি এড়াতে প্রশাসন সদা সতর্ক। বাড়ি থেকে কাউকে না বেরনোর নির্দেশ। নবান্নের  কন্ট্রোল রুমে থেক নিজে তদারকি করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আমফান সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট:

রাত ৯.৩০: আমফানের তাণ্ডবে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

রাত ৯.১০: মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে যেটা হল তা ১৯৩৭ সালের কথা মনে করিয়ে দিল। কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আজকে যে তাণ্ডব দেখেছি তাতে খুব আঘাত পেয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন থাকবে এই সময় রাজনীতি না করে বাংলার পাশে দাঁড়ান। আমরা যেখানে কাজ করছি সেই নবান্নেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষকে আবেদন করব এখনই রিলিফ ক্যাম্প ছেড়ে কোথাও যাবেন না। সরকারি আধিকারিকদের পরামর্শ মেনে চলুন।  পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। সেই সময়টা ধৈর্য ধরে থাকুন। এখনও কয়েকটি জায়গায় তাণ্ডব চলছে। বারাকপুর, বারাসত, বসিরহাট ও গঙ্গাসাগর সাব ডিভিশন, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের অবস্থাও খুব খারাপ। রাস্তাঘাট সবই প্রায় বন্ধ। এখনও আমি ভাবতে পারছি না সবকিছু ঠিক কী করে করব? যা খবর পাচ্ছি তাতে সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। এত ঝড় হবে কেউ ভাবতে পারেনি। আবহাওয়াবিদরাও বুঝতে পারেননি। সবার কাছে আবেদন করব এই সময়ে বাংলার পাশে এসে দাঁড়ান। দয়া করে এখন রাজনীতি করবেন না। রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রমের কাছে ভয়াবহ এই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করব। আমাদের সব পঞ্চায়েতগুলিকেও এই কাজে মনোনিবেশ করতে বলব।’

Advertisement

রাত ৯ টা: পুরো ঝড়টাই বাংলার উপর দিয়ে গিয়েছে। বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে তা দু-তিনদিনের আগে জানা যাবে না বলেও উল্লেখ করে তিনি। বলেন, ‘একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে নিয়ে মোকাবিলা করছি আমরা। আমাদের এখানে দিঘাতে যতটা হিট করবে ভেবেছিলাম ততটা হয়নি। আগে থেকে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। পাঁচ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা রক্ষা পেয়েছেন। তবে দুটো ২৪ পরগনা পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। সব সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। আমরা নিজেরা খুব স্তম্ভিত। খুব খারাপ লাগছে। নবান্নেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।’

রাত ৮.৩০:  উলুবেড়িয়া মহকুমা এলাকায় আধ ঘন্টা আগে ঝড়ের তান্ডব কমে। প্রায় তিন হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারো টিন বা টালির ছাউনি ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। কয়েক শ মাটির বাড়ি পড়ে গিয়েছে।

রাত ৮ টা: মাঝে ঝড়ের দাপট কমলেও ফের শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়বৃষ্টি। কলকাতার বেশকিছু জায়গা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।

সন্ধে ৭.২০: ঝড়ের দাপটে নবান্নে ভাঙল প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘর। নবান্নের দোতলায় ১০৯ নম্বর ঘরের বসতেন তিনি। এছাড়া ভেঙেছে তথ্য দপ্তরের ৯০৯ নম্বর ঘর।

সন্ধে ৭.১০: বসিরহাটে ৭ হাজারেরও বেশি বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি মাটিয়া ও মিনাখাঁ এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও দু’জন। মাটিয়া এলাকায় মৃতের নাম মহন্ত দাস। আর মিনাখাঁ এলাকায় মৃতের নাম নুরজাহান বেওয়া।

সন্ধে ৭.০০: আমফানের তাণ্ডব চলছে আরামবাগ মহকুমাতেও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য। বুধবার দুপুরের পর থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি । খানাকুল ব্লকের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে স্কুল ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেছে মহকুমা প্রশাসন। গোঘাট ব্লকে আরামবাগ-মেদিনীপুর রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ হয়েছে যান চলাচল।

সন্ধে ৬.৩০: আমফানে প্রাণ গেল হাওড়ার এক কিশোরীর। টিনের চাল পড়ে মৃত্যু হল কিশোরীর। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ে এ বঙ্গে মৃত দুই।

সন্ধে ৬.০০: আমফান দুর্যোগের মোকাবিলায় সারাদিন কন্ট্রোলরুম পরিচালনা করলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর সুন্দরবনের আপডেট নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠালেন প্রত্যেকটা জায়গায়।

বিকেল ৫.৩০: আমফানের প্রভাবে বৃষ্টিতে ভাসছে শহর কলকাতা। গত ১১ঘণ্টায় গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৬৩.২৯ মিলিমিটার।

Rainfall

বিকেল ৪.৫৮: হাওড়ার গ্রামাঞ্চলে আমফানের ব্যাপক তাণ্ডব। রাস্তায় উপড়ে পড়ল বড় গাছ।  সল্টলেকেও একই ছবি।

বিকেল ৪: আমফানের তাণ্ডব থেকে বাঁচাতে ওড়িশা উপকূল থেকে ৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যাটা ১ লক্ষ ৬৮ হাজারের বেশি। জানালেন NDRF প্রধান এসএ প্রধান।

দুপুর ৩.৪৯:  ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও বিক্ষোভ। আমফান থেকে বাঁচতে ত্রাণশিবিরে ঠাঁই না পেয়ে বাসন্তী – সোনাখালির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

দুপুর ৩.৪৫: আমফানের দাপট বাড়ছে সুন্দরবন এলাকায়। বিভিন্ন এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, গোসাবা ও কুলতলিতে ফোনের টাওয়ার কাজ করছে না।দুপুর বারোটা থেকে বিদ্যুৎ নেই। জেলা শাসক পি উল্গানাথনকে ফোন করে খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুপুর ৩.৩৪: অতি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র ছাড়া বিদ্যুৎ বন্ধের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

দুপুর ৩.২৯: নবান্ন সূত্রে খবর, দিঘায় এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি না হলেও, সেখানে প্রচুর গাছ পড়েছে। উপকূলবর্তী গ্রামের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। মৎস্যজীবীদের চালা উড়ে গিয়েছে। সমুদ্রের তীরবর্তী ছোটখাটো দোকান ঘরের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে।

দুপুর ৩.১৬: ‘সতর্ক থাকো, সাবধানে থাকো পশ্চিমবাংলা, ওড়িশা, বাংলাদেশ’, টুইট করে আমফান নিয়ে সতর্কবার্তা অভিনেতা সাংসদ দেবের।

দুপুর ৩: আমফানের দাপটে একজনের মৃত্যুর খবর মিলল বাংলাদেশ থেকে।  ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি বেগে হাতিয়া দ্বীপে আছড়ে পড়ে সুপার সাইক্লোন। 

দুপুর ২.৩৯: দিঘায় ঢুকলো ঘূর্ণিঝড় আমফান। দিঘা, রামনগর, শংকরপুরে ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার। বিকেল চারটে নাগাদ ঘণ্টায় ১৪০-১৫০ কিমি বেগে কলকাতায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। প্রথম ঝটকায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের একাধিক ঘরবাড়ি ও দোকান,বাজার। এখনও প্রাণহানির খবর নেই। জানালেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

দুপুর ২.১০: আমফানের প্রভাব সুন্দরবন এলাকায়। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বাসন্তীতে রাস্তার উপর ভেঙে পড়ল গাছ।

Tree

দুপুর ১.৪৫: পূর্ব কলকাতা ও বাইপাসের পাশাপাশি সল্টলেকের একাংশে সবচেয়ে বেশি হতে পারে আমফানের দাপট। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মোবাইল টাওয়ার। উড়ালপুলে গাড়ি উঠলে উড়ে যেতে পারে। তাই কলকাতার সমস্ত উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, বেলেঘাটা, কাঁকুড়গাছি ঘুরে সতর্ক করলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

দুপুর ১.১৫:দিঘার সেচ বাংলোর কন্ট্রোল রুমে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। থেকে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে সুপার সাইক্লোন আমফানের গতিবিধির উপর প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছেন রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। 

Suvendu

দুপুর ১২.৩৯: আরও এগোচ্ছে আমফান। দিঘা ও সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান। কলকাতা থেকে দূরত্ব ২২০ কিমি মাত্র। আমফানের গতিবিধি নিয়ে প্রকাশিত বুলেটিনে জানাল আবহাওয়া দপ্তর। পরিস্থিতি দেখতে রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

দুপুর ১২: সুপার সাইক্লোনের প্রভাবে সমুদ্রে ৪ থেকে ৬ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সতর্কবার্তা NDRF প্রধান এসএন প্রধানের। 

বেলা ১১.৩০: আমফান মোকাবিলায় ওড়িশা উপকূলে মোতায়েন ভারতীয় নৌ বাহিনীর ২০টি দল। রয়েছে দুই উদ্ধারকারী জাহাজও।

বেলা ১১.১২:  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় জল। বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হল। চলছে মাইকিং। ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় এই মুহূর্তে ঝড়ের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।  

frezargunj

সকাল ১০.৫৩: পাথরপ্রতিমায় জি-প্লটের কাছে জগদ্দল নদীর বাঁধে বেশ কিছুটা এলাকাজুড়ে ধস। তীব্র আতঙ্ক। নদীবাঁধ ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে বিধায়ক সমীর জানার আশঙ্কা। 

সকাল ১০.৩০: আমফানের গতি সামান্য কমেছে। ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিমি বেগে দিঘা ও হাতিয়ার দিকে ধেয়ে আসছে। জানাল মৌসম ভবন। 

সকাল ১০.১৮: আমফানের মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিধাননগর পুরনিগম। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ২২ মে সকাল আটটা পর্যন্ত এখান থেকে চলবে নজরদারি। যে কোনও সমস্যায় ২৩৫৮-১১৫৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন বাসিন্দারা। বিধাননগর পুরভবন ছাড়াও সল্টলেক এবং রাজারহাট স্ট্যাক ইয়ার্ড, ১১ নং ট্যাঙ্ক-সহ প্রত্যেকটি বরো অফিসে স্থানীয়ভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। ঝড় পরবর্তী সময়ে উদ্ধারকাজ, পড়ে যাওয়া গাছ-ল্যাম্প পোস্ট সরানোর কাজ যাতে দ্রুত করা যায়, তার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকছেন। জরুরি বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

সকাল ১০: বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি জঙ্গলের  কাছে কুমিরমারি দ্বীপ। একসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছিল দ্বীপটি, রায়মঙ্গল নদীর ঢেউয়ে এবারও সেই আশঙ্কা।

Kumirmari-island

সকাল ৯.৪৫: এগোচ্ছে আমফান। দিঘায় আরও উত্তাল সমুদ্র। মুহূর্মুহূ জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ছে তটভূমিতে। সাজানো সৈকত তছনছ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দিঘায়।

Digha-tide1

সকাল ৯.৩৭: ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে আর মাত্র ১২০ কিমি পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান সুপার সাইক্লোন আমফানের। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির ছবি প্রকাশ করল IMD.

সকাল ৯.৩১: সুন্দরবন এলাকায় একটানা তুমুল বৃ্ষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল আটটা পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়  গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৩১.৯১ মিলিমিটার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠক জেলা প্রশাসনের।

S24-meet

সকাল ৯.২৮: ক্রমশ এগোচ্ছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ২০০ কিমি ও কলকাতা থেকে ৩১৫ কিমি দূরে  অবস্থান। বুলেটিন প্রকাশ করে জানাল IMD.

সকাল ৯.০৫: ওড়িশার ভদ্রকের কাছে রাস্তায় দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। সাইক্লোনের দাপটে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণে বাধা না পড়ে, তার জন্য রাস্তা পরিষ্কারে তৈরি টিম। 

সকাল ৮.৪৫: আমফান আছড়ে পড়ার প্রাকমুহূর্তে শুধু উপকূলীয় জেলাগুলিতে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে সকাল থেকে।

সকাল ৮.৩৩:  দিঘা থেকে আর মাত্র ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আমফান। সকাল থেকে দিঘায় সমুদ্র উত্তাল। ১২ থেকে ১৪ ফুট উঠছে ঢেউ। কলকাতা থেকে ৩৩৩ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান আমফানের। প্রতি ঘণ্টায় বুলেটিন দিয়ে পরিস্থিতি জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।

Digha-tide2

সকাল ৮.২৮: পারাদ্বীপের কাছে ক্রমশই বাড়ছে হাওয়ার গতিবেগ।  ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। পুরী, বালাসোরে হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৪০ – ৬০ কিলোমিটার। আমফানের তাণ্ডব শুরু এখানে, মত আবহাওয়াবিদদের।

সকাল ৮.২২: রাত থেকে সুন্দরবন লাগোয়া একটানা বৃষ্টি। বকখালি, ঝড়খালি, ফ্রেজারগঞ্জে দিনভর এমনই আবহাওয়া থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ঝড়ের গতিবেগ। 

সকাল ৮.২০: আমফান সামলাতে তৈরি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৪টি করে NDRF টিম রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতেও প্রস্তুত NDRF.

সকাল ৮.১৫: সুপার সাইক্লোন আমফান তাণ্ডব চালাবে কলকাতাতেও। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ নবান্ন, পুরসভার। করোনার চিকিৎসা চলছে, এমন হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে। চালু বিদ্যুৎ দপ্তরের হেল্পলাইন নং – ৭৮৮৯৩০০৮৪০, ৯৪৩৩৫৬৪১৮৪। নিকাশি সামলাতে কলকাতাকে তিন জোনে ভাগ করে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে নজর। প্রতি পাম্পিং স্টেশেন একজন করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার থাকবেন। বড় গাছ উপড়ে পড়লে তা সরানোর জন্য টিমও প্রস্তুত। কলকাতায় বন্ধ সমস্ত দোকান-বাজার। 

সকাল ৮.০৯: আমফানের প্রভাবে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে হলদিয়া বন্দরে জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে মঙ্গলবারই। আজ সেখানকার সমস্ত পেট্রোকেমিক্যাল কারখানা বন্ধ। সুপার সাইক্লোনে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির জেরে যাতে রাসায়নিক কারখানাগুলিতে বড় দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত কারখানা কর্তৃপক্ষের।

সকাল ৭.৩৫: ওড়িশার পারাদ্বীপের কাছে ৮২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে হাওয়া বইছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টিপাত। আমফানের আছড়ে পড়ার আগে এমনই আবহাওয়া পারাদ্বীপে। 

সকাল ৭: সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপট থেকে মানুষজনকে নিরাপদে রাখতে ওড়িশা জুড়ে ১৭০৪টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।  সেখানে অন্তত ১১৯০৭৫ জনকে সরানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ