Advertisement
Advertisement

তারের জালে মোড়া বর্ধমানের বাজার, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

বাজার নয়, যেন জতুগৃহ।

Another tragedy in the offing in Burdwan market
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 18, 2018 10:12 am
  • Updated:September 18, 2018 10:12 am

স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: কেউ বলছেন আমরা হয়তো বেঁচে যাব। কিন্তু বাজার বাঁচবে না। কারও মতে, ভগবানের ভরসায় মার্কেট টিকে রয়েছে। কলকাতার বাগরি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আতঙ্ক গ্রাস করেছে বর্ধমান শহরের দত্ত সেন্টার, বৈদ্যনাথ কাটরা, ফ্যান্সি মার্কেট, পাতালবাজার-সহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা দূরের কথা, মার্কেটগুলিতে দমকল ঢোকার মত পরিস্থিতিও নেই বলে অভিযোগ। আর যত্রতত্র খোলা বৈদ্যুতিক তার ও ফিডার বাক্স। অপরিসর রাস্তা। মানুষের চলাচল করাই কষ্টসাধ্য। পোশাক, হোসিয়ারি, ওষুধ, বই-সহ বিভিন্ন দোকানে সবই প্রায় দাহ্যবস্তু রয়েছে। কার্যত জতুগৃহ হয়ে রয়েছে এই মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি।

[ভাঙতে শুরু করল জ্বলন্ত বাগরি, প্রবল আতঙ্কে স্থানীয়রা]

Advertisement

যে কোনও সময় অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। মার্কেট কমপ্লেক্সের মালিকদের সেদিকে নজর নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। ফ্যান্সি মার্কেটের ব্যবসায়ী প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভগবানের ভরসায় মার্কেট চলছে। মার্কেট কমপ্লেক্সের ভিতরে অগ্নিনির্বাপন বা সুরক্ষায় যে ব্যবস্থা থাকার কথা তার কিছুই নেই। সিঁড়ি রয়েছে। কিন্তু খুবই অপরিসর। ফলে আগুন লাগে বড় বিপদ ঘটে যাবে।” শহরের অন্যতম বড় মার্কেট কমপ্লেক্স দত্ত সেন্টার। সেখানকার ব্যবসারীও আতঙ্কে রয়েছে। সেখানকার অব্যবস্থা সবথেকে ভয়াবহ। জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরাই। হোসিয়ারি দোকান মালিক দুলাল সূত্রধর জানান, “আগুন লাগলে দমকল ঢুকেই পারবে না এখানে। রাস্তাই তো নেই।” প্রসাধনী দোকানের কর্ত্রী শ্বেতা কর্মকারের অভিযোগ, যত্রতত্র বিদ্যুতের তার ঝুলছে। ছাদ থেকে জল পড়ে। ওই তার জলের সংস্পর্শে এসে শর্টসার্কিট হয়ে যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। এখাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী অবনী দেবনাথ বলেন, “কাছাকাছি জলের ব্যবস্থা নেই। দমকলও ভিতরে ঢুকতে পারবে না। আগুন লাগলে পুরো মার্কেট ছাড়খাড় হয়ে যাবে। খুবই আতঙ্কে থাকতে হয়।” পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ ইয়াসিন বলেন, “এখানে আগুন লাগলে কলকাতার বাগরি মার্কেটের মতই অবস্থা হবে। পুরো মার্কেট শেষ হয়ে যাবে।” বইবিপণীর মালিক প্রণব হুইয়ের কথায়, “আগুন লাগলে আমরা হয়তো প্রাণে বেঁচে যাব। কিন্তু দোকান বাঁচবে না। আর দোকান না বাঁচলে পথে বসতে হবে ব্যবসায়ীদের।”

Advertisement

এই মার্কেটে দুশোরও বেশি দোকান রয়েছে। বছর দশেক আগে একটি ওষুধে দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। সেবার বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছিল অন্য দোকানগুলি। তেমন পরিস্থিতি ঘটলে আর রক্ষা থাকবে না। তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে সেন্ট্রাল মার্কেট। সেখানে কয়েকবছর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ম্যানেজার পাপু ঘোষ জানান, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ওই মার্কেটে অবশ্য বর্তমানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুজোর মুখে বাগরি মার্কেটের ঘটনা বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে, বাগরি মার্কেট থেকে বর্ধমানের কল্যাণী মার্কেটে ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ওষুধ আসত। সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

[একে অপরের বিরুদ্ধে ৬৭টি মামলা, দম্পতিকে ‘ক্ষান্ত’ হওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ