রাজা দাস, বালুরঘাট: ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত আড়াই বছরের শিশু আবিরের সবরকম চিকিৎসা ব্যবস্থায় এগিয়ে এলেন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। শনিবার দুঃস্থ আবিরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আশ্বস্ত করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এদিন পতিরামের ঝাপুরসি এলাকায় গনেশ রায়ের বাড়ি গিয়েছিলেন সাংসদ অর্পিতা। সেখানে গনেশবাবুর আড়াই বছরের ক্যানসার আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা এআইআইএমসে করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। পাশাপাশি দিল্লিতে থাকার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান। আগামী ৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন অর্পিতা। সেই সময় আবিরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, দিল্লি থেকে বালুরঘাটে ফিরে পতিরামের ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
[ আবাসিক হোমে নাবালিকাদের উপরে যৌন নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩ ]
সাংসদ অর্পিতা ঘোষ জানান, এদিন শিশুটির পরিবারের লোকেরা তার সঙ্গে দেখা করে। এক বছর ধরে অসুস্থ আবির। তখন যোগাযোগ করলে অনেক আগেই শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতেন। তাদের ভিটে জমিগুলো বিক্রি করতে হত না। আগামী ৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাবেন। তখনই তিনি এইমসে চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি ওই পরিবার যাতে দিল্লিতে থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করবেন।
বালুরঘাট থানার পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাপুরসি এলাকায় বাসিন্দা গনেশ রায়ের আড়াই বছরের ছেলে আবির। পেশায় শ্রমিক গণেশ তার স্ত্রী পরিবারকে নিয়ে গুজরাটে ছিলেন। বছর খানেক আগে ওই দম্পতির আড়াই বছরের ছেলে আবির জ্বরে পড়ে। চিকিৎসার পরেও জ্বর কমছিল না শিশুটির। পরে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর গ্রামে ফিরে আসেন তাঁরা। প্রথমে বালুরঘাটের একটি বেসরকারি ও পরে সদর হাসপাতালে ছেলেকে ভরতি করান। সেখান থেকে আবিরকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। ১০ মাস ধরে সেখানেই চলছে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত আবিরের চিকিৎসা। এখন পর্যন্ত সাত বার কেমো দেওয়া হয়েছে ছেলেটিকে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট দরকার। এর জন্য দ্রুত দিল্লির এআইআইএম সে ভরতি করতে হবে। আর এই চিকিৎসায় অন্তত সাত থেকে আট লক্ষ টাকার প্রয়োজন তাঁদের।
[ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত গলসি, বোমার আঘাতে জখম অন্তত ১০ ]