রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় উঠে রাতভর বৃষ্টির জলে ভিজলেন বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী সাবির খান৷ রাতভর বৃষ্টিতে ভিজে কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী৷ ঘটনার প্রায় দু’ঘণ্টা পর শিল্পীর বার্থ পরিবর্তনের ব্যবস্থা করিয়ে দেন টিকিট পরীক্ষক৷
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার৷ এদিন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে বৃষ্টির জলে ভিজে যান তিনি৷ এসি টু টিয়ারে ৩১ নম্বর বার্থে তখন ঘুমোচ্ছিলেন তিনি৷ আচমকা দেখেন, তাঁর শরীর ভিজে গিয়েছে৷ জানালা দিয়ে অঝোরে বৃষ্টির জল ভিতরে ঢুকছে৷
[হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শিশুবান্ধব ধাঁচে সেজে উঠছে বর্ধমান পকসো আদালত]
শুধু বিখ্যাত এই শিল্পীর নয়, এদিন এসি টু টিয়ার ও এসি ওয়ান কামরায় বেশ কয়েকজন যাত্রীর একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন৷ পরে ঘটনার দু’ঘণ্টা পরে কর্তব্যরত টিটিকে অভিযোগ জানান সাবির খান৷ পরে টিকিট পরীক্ষক শিল্পীর বার্থ পরিবর্তন করে দেন৷ এই ঘটনায় রেল পরিষেবা নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিল্পী৷ এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি ট্রেনে খুব বেশি ভ্রমণ করি না৷ কিন্তু আজ যা অভিজ্ঞতা হল তাতে আমি মর্মাহত। সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। বার্থ পরিবর্তন করার পর জামাকাপড় চেঞ্জ করে শুয়েছি। রেলের পরিষেবার এই হাল আমি দেখে মর্মাহত। শুধু আমি না বেশ কয়েকজনের এই অবস্থা হয়েছে৷’’
[স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ছুটির দিনেও রোগী দেখছেন রঘুনাথপুরের এসডিও]
আলিপুরদুয়ারের রেল ইন্সটিটিউট হলে রবিবার ওস্তাদ কেরামতুল্লা খানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আলিপুরদুয়ারে যান বিশ্ববিখ্যাত তবলা বাদক ওস্তাদ সাবির খান। সাবির খানের সঙ্গে বিখ্যাত কত্থক শিল্পী সম্রাজ্ঞী ঘোষ, সন্তুর শিল্পী পণ্ডিত ভট্টাচার্য, সেতার শিল্পী চন্দ্রচূড় ভট্টাচার্য, শিল্পী আমিন খান, আশিব খান-সহ বেশ কয়েকজন একই ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে আলিপুরদুয়ার আসছিলেন। সকলেই এই ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েন। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রবীর রমণ বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব৷’’