সোমনাথ পাল, বনগাঁ: একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ। গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ। তিনজনই স্থানীয় বাগদা হেলেঞ্চা কলেজের ছাত্র। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে খবর। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর বাগদা থানার কোলা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, বিকেলে বাড়ির সামনেই পায়চারি করছিল ওই ছাত্রী। সে বাগদা হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। সেই সময় ঘটনাস্থলে বাইকে চেপে আসে দুই যুবক। অভিযোগ, আচমকাই ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। ততক্ষণে অন্ধকার নেমেছে। গোটা ঘটনাই এত দ্রুততার সঙ্গে ঘটে যে নির্যাতিতা চেঁচামেচিরও অবকাশ পায়নি। পড়শিদের চোখেও বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এদিকে রাত বাড়লেও মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেছেন। গভীর রাতের দিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে নির্যাতিতা। তাকে দেখেই কিছু সন্দেহ করেছিলেন মা। জিজ্ঞাসা করতেই নারকীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সকালে নির্যাতিতাকে নিয়ে বাগদা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
[ইসলামপুর কাণ্ডে মৃত আরও এক ছাত্র, বিজেপির বনধে থমথমে উত্তর দিনাজপুর]
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে বাইকে চাপিয়ে দুই যুবক তৃতীয় অভিযুক্তের বাড়িতে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী কাটাখালি গ্রামের সেই বাড়িতেই ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ করে তিনজন। তারপর বাড়ির অদূরে এক নির্জন স্থানে নামিয়ে পালিয়ে যায় তিন অভিযুক্ত। এদিকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে আটক করলেও তাদের সম্পর্কে মুখ খোলেনি। জানা গিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষার পর নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।