সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের খানিকটা আগেই বঙ্গে পা রেখেছে বর্ষা৷ কিন্তু জমাটি আমেজ মিলতে সময় লেগেছে বেশ কিছুটা৷ আষাঢ় মাসেও সেভাবে নিজের দাপট দেখাতে পারেনি মৌসুমি বায়ু৷ তবে শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে দুর্দান্ত ইনিংস বর্ষার৷ একটানা বেশ কয়েকদিন ধরেই নিজের দাপট বজায় রেখেছে সে৷ আর বর্ষার দাপটের সঙ্গেই বাড়ছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক।
[পারিবারিক অনুষ্ঠানেও রক্তদানের আগ্রহ বাড়ছে দুর্গাপুরে]
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গুর থাবায় প্রাণহানি হয়ে গিয়েছে একজনের। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃতের নাম কাসের আলি মোল্লা। আর এই খবরে অনেকেরই মনে পড়ছে গত বছরের ডেঙ্গির ত্রাস। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় পনেরো দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন কাসের আলি। প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান তিনি৷ কিন্তু তাতেও জ্বর কমছিল না তাঁর৷ তাই বাধ্য হয়ে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে, দিনকয়েক আগে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন কাসের৷ তাতেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি তাঁর৷ ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাসের আলিকে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন৷ সেই মতো কলকাতার এক হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন অসুস্থ রোগীর পরিজনরা৷ তাতেও লাভ হয়নি কিছুই৷ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যান ওই ব্যক্তি৷ মৃতের পরিজনদের দাবি, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটেও উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গির কথা৷
[বৃষ্টি নামতেই ফের ডেঙ্গু আতঙ্ক রাজ্যে, বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি ৭]
এর আগে বেলেঘাটা, বাগুইআটি ও মানিকতলায় ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে জ্বর ও গায়ের ব্যথার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ৯ জন ভরতি হয়েছেন। প্রত্যেকের রক্তেই প্লেটলেটের মাত্রা ছিল অনেকটাই কম। তবে শুধু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই নয়, শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে রোগীরা ভরতি হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত বছর বর্ষাশেষে গোটা রাজ্যে ভয়াল আকার ধারণ করেছিল ডেঙ্গু। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ১৪ হাজার মানুষ। কলকাতা-সহ একাধিক শহরে মারা গিয়েছিলেন অনেকেই। বাদ যায়নি গ্রামাঞ্চলও।