Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্গাপুর

সার্থক ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি, স্থানীয়দের সমস্যা শুনতে পঞ্চায়েতেই বসবেন বিডিও

বিধায়কের ভূমিকায় খুশি স্থানীয়রা।

BDO will work for development and panchayat office due to villagers problem
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 21, 2019 8:10 pm
  • Updated:August 22, 2019 4:26 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুর: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির যেন সার্থক রূপায়ণ হল দুর্গাপুরে। স্থানীয়দের দাবি মেনে এবার থেকে বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির অফিস অস্থায়ীভাবে বসবে পঞ্চায়েতে। বিধায়কের নির্দেশ ইতিমধ্যে বিষয়টি কার্যকর করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন:প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র, ঘুমন্ত স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্ত্রীর]

গত ১৬ আগষ্ট দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়াতে ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নেন পান্ডবেশ্বেরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সেখানেই বিডিও অফিসের দূরত্ব নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান অনেকেই। দুর্গাপুর ফরিদপুরের ব্লক অফিস লাউদোহায়। আর জেমুয়া থেকে লাউদোহার ওই ব্লক অফিসের দূরত্ব প্রায় তিরিশ কিলোমিটার। ফলে দৈনন্দিন কাজে ব্লকে বা পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে যেতে অত্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। যোগাযোগের অভাবে ব্লকে যেতেও পারেন না বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও স্রেফ দূরত্বের কারণেই মানুষ এড়িয়ে যেত দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক অফিস বা পঞ্চায়েত সমিতি অফিস। তাই বিধায়ক জনসংযোগ যাত্রায় জেমুয়ায় গেলে ব্লক অফিসের দূরত্ব মোচনের আবেদন জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই ব্লক অফিসকে সটান জেমুয়া পঞ্চায়েতে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সেই মতো  সরকারি স্তরে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সোমবার ও বুধবার দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জেমুয়া পঞ্চায়েত অফিসে বসবেন। অন্যদিকে, প্রতি মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ব্লকের যুগ্ম বিডিও জেমুয়া পঞ্চায়েত অফিসে বসে ব্লকের কাজকর্ম দেখবেন। এই বিষয়ে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, “জনসংযোগ যাত্রার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের দুরুত্ব নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের সমস্যা আমি নিজে অনুভব করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়ে খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: জনসংযোগের নতুন দাওয়াই, দিঘার রাস্তায় ‘চাওয়ালা’ অবতারে মুখ্যমন্ত্রী]

সম্ভবত আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই নয়া প্রক্রিয়া। এছাড়াও এলাকার মানুষ একশো দিনের কাজ নিয়েও বিস্তর অভিযোগ করেন বিধায়কের কাছে। সেই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “এই বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। কোথায়-কোথায় খামতি ও সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করেছি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে যে নিয়ম চালু করেছে তাতে একশো দিনের কাজ পাওয়া যথেষ্ট সমস্যার স্থানীয়দের জন্য। তাই নিয়ম শিথিল করতে আন্দোলনের পথেও হাঁটা হতে পারে। ” জানা গিয়েছে, স্থানীয়দের দাবি মেনেই বিধায়কের উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা জেমুয়া রোডেরও মেরামতি শুরু হবে শীঘ্রই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ