Advertisement
Advertisement
বনধ

পাত্রসায়রে গুলিচালনার প্রতিবাদ, রতনপুরে বিজেপির ডাকে ১২ঘণ্টার বনধ

গুলিতে জখম ছাত্রের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল৷

BJP bandh protesting attack on student cripples life at Patrasayer
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 25, 2019 11:57 am
  • Updated:June 25, 2019 11:57 am

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রার পর পাত্রসায়রে রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলিচালনার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টা বনধ চলছে রতনপুর এলাকায়৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের ডাকা বনধে ভালই সাড়া পড়েছে এলাকায়৷ সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ, যানবাহনও খুব একটা দেখা যায়নি রাস্তায়৷ সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বনধ চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷

[আরও পড়ুন: এবার বিয়ের দাবিতে ধরনা প্রেমিকার, বেগতিক বুঝে পগার পার প্রেমিক]

গত শনিবার পাত্রসায়রের কাঁকড়ডাঙা এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ মিছিলে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠায় দ্রুতই রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয়৷ চলে গুলি৷ তাতে এক ছাত্র-সহ ৩ জন জখম হন৷ অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল৷ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউ-তে চিকিৎসার পর আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷ বাকি দু’জনও স্থিতিশীল৷ আজ তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মুকুল রায়৷ তিনি পাত্রসায়রেও গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখবেন বলে খবর৷

Advertisement

এই ঘটনা ঘিরে শনিবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাত্রসায়র এলাকা৷ এনিয়ে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে বিজেপির তরফে৷ রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভে দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে৷ সোমবার এসপি অফিস ঘেরাওয়ের সময় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশ মডেলে এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারিও দেন৷ এই পরিস্থিতিতে আরেক দফা প্রতিবাদে নেমেছে ওন্দার রতনপুর৷ এলাকায় আইশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে ১২ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ বনধ ঘিরে এখনও কোনও অশান্তির খবর নেই যদিও৷ তবে রতনপুরের জনজীবন পুরোপুরি স্তব্ধ৷ রতনপুর এলাকায় বরাবরই বিজেপির প্রভাব বেশি৷ তাই তাদের ডাকে বনধ সফল হবে, তা প্রত্যাশিতই৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: আউশগ্রামে তৃণমূলের শান্তি মিছিলে হামলা, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে]

সম্প্রতি বাঁকুড়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই পালটে গিয়েছে৷ একদা বামেদের দখলে থাকা জেলাটির রাজনৈতিক ক্ষমতা তৃণমূলের হাত ঘুরে আপাতত গেরুয়া শিবিরের হাতে৷ আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও সমস্ত ক্ষমতা বিজেপির হাতে যায়নি৷ তবে শাসকদল যে এখানে কোণঠাসা, তা বুঝতে আর কোথাও কোনও সংশয় নেই৷ এমনকী জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ-এরও তেমন প্রভাব নেই জেলায়৷ সবমিলিয়ে, বাঁকুড়ার দুই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয়, এই মূহূর্তে বিজেপির উত্থান এবং এধরনের ঘটনা–সবমিলিয়ে বেশ চাপে রাখছে শাসকদলকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ