রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জনসংযোগের লক্ষ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখে যাই বলা হোক, এই কর্মসূচি যে খানিকটা হলেও রাজ্যের শাসকদলের সংগঠনকে চাঙ্গা করেছে, তা মানছেন বিরোধীদের একাংশও। তৃণমূলের বসে যাওয়া, বা শীতঘুমে চলে যাওয়া নেতাকর্মীরাও নতুন উদ্যমে রাস্তায় নেমেছেন এই কর্মসূচির প্রচারে। তাই এবার সমানে সমানে টক্কর দিতে এই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পালটা কর্মসূচি নিল রাজ্য বিজেপি।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখেই সাজানো হচ্ছে নয়া পরিকল্পনা। তৃণমূল নেতারা যেমন পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছেন, কর্মীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করছেন, রাত কাটাচ্ছেন, অনেকটা তেমনই করবেন মেদিনীপুরের সাংসদ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যেতে চাইছেন দিলীপ । এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চা চক্রে দিলীপদা’। যার ট্যাগলাইন, ‘কোনও লোক দেখানো ফোনকল নয়, কোনও ছেলে ভোলানো চিঠিচাপাটি নয়। সরাসরি, সামনাসামনি, সোজাসাপটা।’ বিজেপির পরিকল্পনা, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে চা চক্রে যোগ দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি। শুনবেন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা।
গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। হাওড়ার বসতি থেকে শুরু করে দিঘার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে নিজের হাতে চা বানানো। এসবই থাকছে সংবাদের শিরোনামে। মমতার এই জনসংযোগ, নতুন করে তৃণমূলকর্মীদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে সেকথা বলাই বাহুল্য। অনেকে মনে করছেন, তৃণমূল নেত্রীর এই পদক্ষেপের পালটা হিসেবেই দিলীপ ঘোষকে আসরে নামাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু, প্রশ্ন হল দিলীপের জনপ্রিয়তা কী মমতার জনপ্রিয়তাকে হার মানাতে পারবে। গেরুয়া শিবির অবশ্য দিলীপ ঘোষকে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এই পরিকল্পনার জন্য একটি প্রচারমূলক ভিডিও-ও তৈরি করে করেছে গেরুয়া শিবির। অনেকে বলছেন, গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপে আরও একটা বিষয় পরিষ্কার, আপাতত দিলীপ ঘোষকে সামনে রেখেই তৃণমূল বিরোধিতায় এগোতে চাইছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.