পলাশ পাত্র, তেহট্ট: জলঙ্গি নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু, লাল ফিতের ফাঁসে সেতু আজও তৈরি হয়নি। বছরভর কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। সোমবার নদিয়ার তেহট্টে জলঙ্গি নদীর পারে কংক্রিটের সেতুর দাবিতে একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন বিজেপি কর্মীরা। সংগ্রহ করা হল গণস্বাক্ষরও।
নদিয়া জেলার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে জলঙ্গী নদী। নদীর অবস্থা অবশ্য ভাল নয়। তবে বর্ষাকালে জল বাড়ে। আর তখন অস্থায়ী বাঁশের সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করা রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কিন্তু মহকুমা শহর তেহট্টে আসতে গেলে তো নদী পেরনোর ছাড়া উপায়ই নেই! স্কুল-কলেজ, অফিস ও অন্যন্য প্রয়োজনেও প্রতিদিনই জলঙ্গী নদীর উপরে অস্থায়ী বাঁশের সেতু পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। তাই তেহট্টে জলঙ্গী নদীর উপর একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বস্তুত কয়েক বছর আগে বর্ষায় নদীর জলে বাঁশের সেতুটি ডুবে গিয়েছিল। তেহট্টের সঙ্গে নদীর ওপারের গ্রামগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছিল। সমস্যা পড়তে হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। কিন্তু তাতেও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি। সোমবার দিনভর তেহট্টে ঘাটে জলঙ্গী নদীর পাড়ে রীতিমতো মঞ্চ তৈরি করে চলল একদিন প্রতীকী অনশন। কংক্রিটের সেতুর সমর্থনে গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করলেন বিজেপি কর্মীরা। দলের নেতা বিভাস মণ্ডল জানিয়েছেন, জলঙ্গি নদীর উপর কংক্রিটের সেতুর সমর্থনে গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা।
কয়েক বছর আগে জলঙ্গি নদীতে বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছিল প্রশাসন। নদিয়ার তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের উদ্যোগে জলঙ্গি নদীর তৈরি উৎসবও হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। জলঙ্গির বেহাল দশা ঘোচেনি। নদীর নাব্যতা যা ছিল, তাই রয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, স্রেফ কংক্রিটের সেতুই নয়, বরং সরকারি প্রকল্পে জলঙ্গি নদীর নাব্যতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে প্রশাসন। এই নদীকে ফের তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.