Advertisement
Advertisement
গুলি

সন্ত্রাস অব্যাহত বারাকপুর এলাকায়, কাঁকিনাড়ায় এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন বিজেপি কর্মী

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত ১ দম্পতি।

BJP worker shot dead in North 24 pargana's kankinara

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 27, 2019 8:46 am
  • Updated:May 27, 2019 8:57 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া এলাকায়। যুবককে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। মৃতের কললিস্ট খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: বিজেপির ভরসায় তৃণমূলের দখল থেকে পার্টি অফিস মুক্ত করল সিপিএম]

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম চন্দন সাউ। বাড়ি জগদ্দল থানা এলাকার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৪ পল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন চন্দন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। কালীতলা স্কুলের কাছে পৌঁছাতেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর চলে এলোপাথারি গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন চন্দন। তাঁকে ফেলে রেখে রেখে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা  মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর বেশ কিছুক্ষণ হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন তাঁরা। এরপরই মৃতের কললিস্ট খতিয়ে দেখে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত শিশু, চাঞ্চল্য হাড়োয়ায়]

চন্দন খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, আগে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন চন্দন। কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দলত্যাগের কারণেই খুন হতে হল চন্দনকে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত, ১৯ মে ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনের দিন থেকেই উত্তপ্ত ভাটপাড়া ও কাঁকিনাড়া চত্বর। ২৩ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরও সেই অশান্তির রেশ কাটেনি৷ রীতিমত সন্ত্রাসের পরিবেশ বারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকাজুড়ে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ