শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: কোচবিহারে সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বাস আটকানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়িতে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগের তির পুলিশের দিকে। সভায় যেতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের বাস আটকানো হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ইট ছোঁড়ার পালটা অভিযোগ করেছে পুলিশ। ইটের ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিস্থিতি বেশ থমথমে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[সীমান্তে ৬৪০ লিটার ভেজাল দুধ উদ্ধার, পুলিশের জালে চক্রের তিন পাণ্ডা]
শুক্রবার কোচবিহার থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা কর্মসূচি। কিন্তু বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের রায়ের পর তা এখনও অনিশ্চিত। তবে শুক্রবার কোচবিহারে বিশাল জনসভার আয়োজন করেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, সেই সভাতে যোগ দিতেই শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের একটি বাস কোচবিহারের উদ্দেশ্যে আসছিল। বিজেপির অভিযোগ, জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির শালবনি এলাকায় তাঁদের বাসটিকে আটকায় পুলিশ এবং কোনও কারণ ছাড়াই তাঁদের কর্মীদের থানায় নিয়ে যেতে চান পুলিশ কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এরপর প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা শুরু হয়। তারপর সেই বচসা রূপ নেয় হাতাহাতির। যদিও পুলিশের পালটা দাবি, তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা এবং ইটের ঘায়ে গুরুতর আহত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা। তাঁর চোখের উপরে আঘাত লেগেছে। স্থানীয় এক হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে৷ এছাড়া চোট পেয়েছেন ওসি ট্রাফিক অসীম মজুমদার, ধুপগুড়ি থানার আইসি-সহ মোট ছ’জন পুলিশ কর্মী। এই ঘটনায় এখনও কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি।
[রাজ্য সফর বাতিল, কোচবিহারে বিজেপির সভায় আসছেন না অমিত শাহ]
এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের শাসকদল ও কোচবিহার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেস হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। পুলিশ একাধিক স্থানে বিজেপি কর্মীদের বাস আটকে দিয়েছে৷ বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে এসে ঠেকেছে এবং বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.