Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিরক্ষর আদিবাসী সৌরবির দানের জমিতে গড়ে উঠছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র

দৃষ্টান্ত স্থাপন আদিবাসী মহিলার।

child education centers are being developed on land donated by indigenous women
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 4, 2018 12:58 pm
  • Updated:October 4, 2018 12:58 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্কুলে যাওয়ার সুযোগ ঘটেনি। অক্ষরজ্ঞান নেই তাঁর। সেই আদিবাসী মহিলাই এবার শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় আসার সুযোগ করে দিলেন। তাঁর দান করা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। যার আনুষ্ঠানিক সূচনাও সৌরবি টুডু নামে ওই মহিলার হাত দিয়েই করালেন প্রশাসনের কর্তারা। আর সৌরবির দেখানো পথে হাঁটলেন এলাকার আর এক বাসিন্দা বাসুদেব গুহ। তিনিও অঙ্গীকার করলেন আরও একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়তে জমি দান করবেন বলেন।

[মহালয়ার আগেই উৎসব শুরু বীরভূমে, কৃষ্ণনবমীতে হল দেবীর বোধন]

শিক্ষার আলো ফোটাতে আদিবাসী রমণীর এমনই এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লকের উচালন গ্রামের বড় চৌকপাড় আদিবাসী পাড়া। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় জেলার ১৫৭তম শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক মৌলি সান্যাল, বিডিও দীপ্যময় মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধাড়া ও সহকারী সভাপতি আনসার আলি খান। বিডিও জানান, এই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র গড়ার জন্য সৌরবিদেবী তাঁর সম্বল দুই কাঠা জমি দান করেন। বিডিও বলেন, “দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওই মহিলা।” একজন আদিবাসী মহিলা যিনি স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখেননি তিনি শিশুদের শিক্ষার আঙিনায় টেনে আনতে যে কাজ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

Advertisement

[তন্ত্রসাধনা করতে গিয়ে খুন যুবক, চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানে]

Advertisement

সৌরবি জানান, খুবই দরিদ্র পরিবার ছিল তাঁদের। ইচ্ছা থাকলেও তিনি স্কুলে যেতে পারেননি। নিজে পড়াশোনা করার সুযোগ না পেলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেই সুযোগ করে দিতেই এলাকার শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়তে নিজের জমি দান করেছেন তিনি। পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়ার জন্য জমির খোঁজ শুরু হতেই নিজে এগিয়ে যান জমি দান করতে। নিজের শেষ সম্বল বলতে ছিল ওই দুই কাঠা জমি। তা দিতে কার্পণ্য করেনি তিনি। সরকারি অর্থে শিশুশিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠার পর খুব খুশি হয়েছেন সৌরবি। তাঁর দান করা জমিতেই এবার আদিবাসী শিশুদের জীবনে শিক্ষার আলো ফুটবে। উচালন গ্রামে আরও একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়া হবে জানতে পেরে সৌরবির পথেই হাঁটলেন গ্রামের বাসুদেব গুহ। তিনি ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্র গড়ার জন্য তাঁর প্রয়াত বাবা কৃষ্ণমোহন গুহর নামে দেড় কাঠা জমি দান করার অঙ্গীকার করেন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ