ধীমান রায়, কাটোয়া: নিয়ম মেনে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকে। কিন্তু রিপোর্ট ভুল! অন্য গ্রুপের রক্ত দেওয়া হল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশুকে। চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটির কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি বলে খবর।
[ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে আগুন-আতঙ্ক, জখম বেশ কয়েকজন]
মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরের নারকেলডাঙায় বাসিন্দা শের খান। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। শের খানের একমাত্র ছেলে থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্ত। তার বয়স মোটে তিন বছর। মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে আনা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ভরতি করে নেন চিকিৎসকরা। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেনি। শের খান জানিয়েছেন, ছেলের রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাংক থেকে এক বোতল রক্ত এনেছিলেন তিনি। সেই রক্ত শিশুটিকে দিয়েছিলেন নার্সরা। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ যখন ছেলেকে দেখতে যান শের খান, তখন তাঁর নজরে পড়ে ওই শিশুটিকে এ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ! ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, ফের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে ওই শিশুটির রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, পরিবারের দাবিই সঠিক। শিশুটির রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভই। নিজেদের ভুল কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সুপার রতন শাসমল। তিনি জানিয়েছেন, ‘থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত তিন বছরের এক শিশুকে রক্ত দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’ শিশুটি এখন কেমন আছে? কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রক্ত বিভ্রাটের পরে এখনও পর্যন্ত তার কোনও শারীরিক সমস্যা হয়নি।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ চোখ নড়ছে, শ্মশান থেকে দেহ আবার হাসপাতালে]