বিক্রম রায়, কোচবিহার: আবারও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ের উপর হামলা। কোচবিহারের মাথাভাঙার সিতাই মোড়ে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালাল একদল বিক্ষোভকারী। কালো পতাকা দেখিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতির উদ্দেশে দেওয়া হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও এই হামলার জন্য প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
[লালগড়ে মৃত রয়্যাল বেঙ্গলের ‘পৈতৃক’ ভিটের সন্ধান পেল বনদপ্তর]
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে মনীষী পঞ্চানন বর্মার বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। সিতাই মোড় দিয়েই তাঁদের কনভয় যাওয়ার কথা ছিল। ফলে আগে থেকেই সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল অনেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতির গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে তারা। দিতে থাকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। এরপরই হঠাৎই তারা চড়াও হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতির কনভয়ের উপর এবং লাঠি, বাঁশ দিয়ে ভাঙতে শুরু করে একের পর এক গাড়ি। কোনওক্রমে সেখান থেকে বের করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও অন্যান্য নেতাদের। এই ঘটনার পরই পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে ভয় পেয়েই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই স্থানে কম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুলিশের চোখের সামনেই তাঁদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
[কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ বেরার বন্দুকের ঘায়ে জখম এএসআইয়ের মৃত্যু]
এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে বিজেপি কর্মীরা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির কর্মীরা। যার ফলে সাময়িক ভাবে স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের যান চলাচল। আগামিকাল থেকে কোচবিহার দিয়েই বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। সেই কারণে গোটা জেলাজুড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত। এমত পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির উপর এই হামলার ঘটনা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।