ধীমান রায়, কাটোয়া: অবশেষে স্বপ্নপূরণ। তা আদৌ হল কী? বর্ধমান-কাটোয়া ট্রেন চালু হওয়ার পর এমন প্রশ্ন ঘুরছে যাত্রীদের মধ্যে। তাদের কথাবার্তায় ঝড়ে পড়ছে একরাশ হতাশা। কারণ এই ট্রেন নিয়ে তাদের আবেগ যে গভীরে।
[পৌষপার্বণে সুখবর, খড়গপুর আইআইটির সৌজন্যে ঢেঁকিছাঁটা চাল ফিরছে বাংলায়]
শুক্রবার ঘটা করে চালু হয় ট্রেন পরিষেবা। শুভদিনেও বিভিন্ন স্টেশনের অব্যবস্থা দেখিয়ে দিল পরিষেবার দিকে তেমন নজর নেই। শৌচাগারের অবস্থা বেশ খারাপ। কোনও স্টেশনে নিয়মিত ট্রেন আসার খবর মাইকে ঘোষণা হয় না। কয়েকটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ইতিমধ্যে ফাটলও ধরেছে বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশনে রোজ দুপুর দুটোয় একটিমাত্র ইএমইউ ট্রেন কাটোয়ার দিকে যায়। ট্রেনটির বর্ধমান যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। বিকেল চারটেয় ফের ওই ট্রেন কাটোয়া থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দিনে একটিমাত্র ট্রেন, তার উপর পরিষেবার এই অবস্থায় বেজায় ক্ষুব্ধ যাত্রীদের একাংশ। তাদের বক্তব্য পানীয় জলের কল থাকলেও মাঝেমাঝেই জল থাকে না। শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও জলের ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত সাফাইও হয় না। যদিও রেলের দাবি, সাময়িক কিছু সমস্যা থাকলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ধমানের স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী বলেন, “ছোটখাট কিছু সমস্যা সাময়িক হয়ে থাকতে পারে। খবর পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
[সংক্রান্তি স্পেশ্যাল ‘সুগার ফ্রি’ তিলকূট, হাতে গরম বানাচ্ছেন বিহারের কারিগররা]
এই রুটে আগে ন্যারোগেজ ছিল। যা ছোট লাইনের ট্রেন নামে পরিচিতি ছিল। পরে তা ব্রডগেজে রূপান্তর হয়। প্রথমবার ইলেকট্রিক ট্রেনে উঠতে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও বহু মানুষ শখ করে ভাতার, নিগন, কৈচর শ্রীখণ্ড প্রভৃতি স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। টিকিট কেটে উৎসাহীরা প্রথম ট্রেনে কাটোয়ার দিকে রওনা দেন। আবার তারা ওই ট্রেনে ফিরে আসেন। কয়েক বছর আগে প্রথম পর্যায়ে বর্ধমান থেকে বলগোনা পর্যন্ত ব্রডগেজ পরিষেবা চালু হয়। দ্বিতীয় ধাপে বর্ধমান থেকে শ্রীখণ্ড পর্যন্ত একটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। সারা দিনে একটিমাত্র ট্রেন তার উপর স্টপেজও কম। রয়েছে সিগন্যালিংয়ের সমস্যা। এই ট্রেন ঢোকার জন্য কাটোয়া স্টেশন লাগোয়া রেলগেট বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায় ১৫ মিনিট। যা নিয়ে বিরক্ত পথের যাত্রীরা। অনেক প্রত্যাশ্যা নিয়ে ট্রেন চালু হলেও সকাল থেকে বাকি দিনের পূর্বাভাস চিন্তায় রেখেছে যাত্রীদের।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.