Advertisement
Advertisement

Breaking News

ঝাড়ফুঁক

‘ভূতে ধরেছে’ সন্দেহে চিকিৎসার বদলে ঝাড়ফুঁক, কুসংস্কারের বলি ২ শিশু

মালদহ মেডিক্যালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ২ শিশু।

Due to superstition two children dies in Maldah's Kadamtala
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 15, 2020 10:21 am
  • Updated:February 15, 2020 10:28 am

বাবুল হক, মালদহ: রাজ্যে ফের কুসংস্কারের বলি ২ শিশু। ‘ভূতে ধরেছে’ সন্দেহে ঝাড়ফুঁক। চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে যাওয়ার ফলে মৃত্যু হল ওই দুই শিশুর। মালদহের গাজোলের কদমতলা গ্রামের ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ আরও দু’জন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাদের। ওই দু’জনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।

শুক্রবার বিকালে মালদহের গাজোলের কদমতলা গ্রামে একদল শিশু খেলা করছিল। বাড়ি ফিরে তারা অভিভাবকদের জানায়, শরীর খারাপ লাগছে। ওই শিশুদের ‘ভূতে ধরেছে’ বলেই সন্দেহ করতে থাকেন শিশুর পরিজনেরা। সঙ্গে সঙ্গে এক ওঝাকে খবর দেওয়া হয়। ওঝা অসুস্থ শিশুদের বাড়িতে আসেন। বন্ধ ঘরে ঢুকিয়ে রেখে চারজন শিশুকে ঝাড়ফুঁক করা শুরু হয়। ঘণ্টাদুয়েক পর প্রায় অচৈতন্য হয়ে যায় খুদেরা। পরিজনেরা তাদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে রাস্তাতেই এক শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর একে একে তিনজন শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। বাকি দু’জন এখনও মালদহ মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি। তাঁরা বিপন্মুক্ত কি না, সে বিষয়ে এখনও চিকিৎসকরা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শীতের বিদায়বেলায় ফের রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

ফিরোজ রহমান এবং শফিকুল আলম নামে নিহত ওই দুই শিশুর দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেবেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খেলাধূলার সময় কোনও বিষাক্ত ফল খেয়ে নেয় শিশুরা। তার জেরে বিষক্রিয়া হয়। তাই অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। ঝাড়ফুঁক না করে আগেই হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসা হলে, তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত বলেই দাবি চিকিৎসকদের। গাজোলের বিধায়কও ঝাড়ফুঁকের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, মুসলমান অধ্যুষিত কদমতলা গ্রামে বেশিরভাগ মানুষই এখনও শিক্ষার আলো পাননি। তাই কুসংস্কার ক্রমশ ঘাঁটি গেড়ে বসেছে ওই এলাকায়। তাই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভাবনাচিন্তা বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ