Advertisement
Advertisement
সাপ

গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে সাপের কামড়ে মৃত্যু, প্রতিরোধ চেয়ে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন বিশেষজ্ঞদের

সর্পদংশনের প্রতিকার নিয়ে ভাতারে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

Experts dial 'DidiKBolo' number, urges for anti-venom centre
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 19, 2019 4:20 pm
  • Updated:September 19, 2019 4:21 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: গ্রামের দিকে সর্পাঘাতে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। সাপে কামড়ানো রোগীদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ রয়েইছে। আবার তেমনই অ্যান্টিভেনাম ঠিকমতো কাজ না করায় অনেকেই মারা যাচ্ছেন বলেও দাবি সর্পবিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত অ্যান্টি ভেনাম সিরাম বা এভিএস মূলত দক্ষিণ ভারতের সাপের বিষ থেকেই তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। সর্পাঘাতে মৃত্যুর হার কমাতে এই রাজ্যে স্নেক ভেনাম ম্যাপিং সেন্টার চালুর দাবি করেছেন সর্পপ্রেমীদের। ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে এই দাবি করেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: পুজোর মুখে জনসংযোগে জোর, ‘চায়ের আড্ডা’ই হাতিয়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের]

বৃহস্পতিবার বিশ্ব সর্পদংশন সচেতনতা দিবস। এদিন ভাতারের বামুনাড়া পঞ্চায়েত কার্যালয়ে সর্পদংশনের প্রতিকার নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তারপর টোটোয় চেপে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গ্রামবাসীদের সচেতন করেন সর্পবিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

Burdwan

Advertisement

তাতে অংশ নেন সর্পবিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য, হুম রাণা এবং একটি সাপ নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার তুহিন প্রামাণিক। সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচাতে প্রাথমিকভাবে কী করনীয়, কীভাবে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতির কথাও তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।

সর্পবিশেষজ্ঞ ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, “আগে আমাদের রাজ্যে বেঙ্গল কেমিক্যাল নামে সংস্থায় আ্যন্টিভেনাম তৈরি হত। প্রায় ৫ বছর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মুম্বইয়ে তৈরি হওয়া আ্যন্টিভেনাম আনা হয়। কিন্তু ওই আ্যন্টিভেনাম দক্ষিণ ভারতের সাপেদের বিষ থেকে তৈরি। আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিরিখে সাপের বিষের উপাদানের তারতম্য ঘটতেই পারে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের সাপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাপের বিষের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই। তাই এই রাজ্যের সাপের বিষ থেকে আমাদের রাজ্যে স্নেক ভেনাম ম্যাপিং সেন্টার তৈরি হলে সেটা আরও কার্যকরী হত। আমরা এনিয়ে অনেকেই ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে আবেদন করেছি। বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া সাপের আন্টিভেনাম সিরামের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তৃণমূল, দেহ আগলে বিক্ষোভে গেরুয়া শিবির]

সর্পবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ভারতবর্ষে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃ্ত্যু হয় সাপের কামড়ে। ধীমানবাবু বলেন,”বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় সাপে কামড়ানো রোগীর মৃত্যু হল একটি অবহেলিত রোগ। একদিকে যেমন অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের পরিবারের গাফিলতি থাকে পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কিছু ঘাটতি থেকে যায়। এক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে চিকিৎসকদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।” হুম রাণা, তুহিন প্রামাণিকরা জানিয়েছেন তাঁরাও ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে রাজ্যে আন্টিভেনাম সেন্টার চালুর দাবি করেছেন। তুহিনবাবু বলেন, “আমাদের মতামত গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়েছে। আশা করছি রাজ্য সরকার আমাদের প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।”

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ