Advertisement
Advertisement
ফরাক্কা ব্রিজ

নকশার ভুলেই নির্মীয়মাণ ফরাক্কা ব্রিজ বিপর্যয়! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সাইট ইনচার্জের

ঘটনায় দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Farakka bridge collapsed for 'faulty drawing', claims site manager
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 17, 2020 1:06 pm
  • Updated:February 17, 2020 1:49 pm

বাবুল হক, মালদহ: নির্মাণ সংস্থার গাফিলতি নাকি অন্য কিছু, নির্মীয়মাণ ফরাক্কা ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক দাবি সাইট ইনচার্জের। তাঁর দাবি, ফরাক্কা ব্রিজের নকশায় ত্রুটির ফলে এত বড় বিপর্যয়। প্রায় দেড় বছর ধরে কেন ভুল নকশাতেই কাজ চলছিল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

মাত্র দেড় বছর ধরে চলছিল ফরাক্কা ব্রিজের সম্প্রসারণের কাজ। রবিবার সন্ধেয় নির্মীয়মাণ ওই ব্রিজের ১ এবং ২ নম্বর পিলারের মাঝে গার্ডার লাগানোর কাজ চলছিল। কাজ করছিলেন কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক। আচমকাই প্রায় বিস্ফোরণের মতো শব্দ কানে ভেসে আসে স্থানীয়দের। মাঝগঙ্গায় নৌকায় থাকা মাঝিরাও শব্দ পান। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বুঝতে পারে ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে এমন শব্দ। তড়িঘড়ি বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে সাতজনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তিনজনের। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে ভরতি কমপক্ষে ৪-৫জন। তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। কলকাতার হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে আহতদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফিকে হচ্ছে শীতের আমেজ, বেলা বাড়তেই গ্রীষ্মের অনুভূতি]

মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই একটি নির্মীয়মাণ ব্রিজ কেন ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে এত বড় বিপর্যয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সাইট ইনচার্জের বয়ানে গলদ ঠিক কোথায় তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। সাইট ইনচার্জের দাবি, ফরাক্কা সেতুর নতুন নকশাতেই ভুল ছিল। সে কথা জানানো হয়েছিল সংস্থাকে। তবে ওই নকশাতেই কাজ করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাজ চলার ফাঁকেই ঘটল বিপর্যয়। এড়ানো গেল না প্রাণহানি।

Advertisement

এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং মালদহ জেলা পুলিশ ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্ত করছে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “গাফিলতি চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গাফিলতির দায় নিতে হবে কেন্দ্র সরকারকেও। তবে এখন রাজনীতি করার সময় নয়। নীতিন গড়করিকে আমি রিপোর্ট দেব। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” জাতীয় সড়কের প্রকল্প অধিকর্তা দীনেশ হানসারিয়া নিহতদের পরিবারকে সরকারি নিয়ম মেনে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ