Advertisement
Advertisement

Breaking News

সদ্যোজাতের গর্ভে আরও একটি সন্তান, বিরল ঘটনার সাক্ষী কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল

চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘ফিটাস ইন ফিটো’৷

Fetus in fito case in Kalyani J N M Hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 5, 2018 9:34 am
  • Updated:August 5, 2018 9:34 am

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: সদ্যোজাত শিশুর ওজন এত বেশি কেন? ভাল করে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দেখলেন তার পেটে আরও একটা বাচ্চা! শিশুর শরীর থেকে প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে দিব্যি বেড়ে উঠেছিল পরজীবী। এমনই আজব ঘটনা ঘটল  নদিয়ার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর মায়ের পেট থেকে বের করে দেখা যায় দুটি শিশুই মৃত। ডাক্তারি পরিভাষায় এই ঘটনাকে বলে, ফিটাস ইন ফিটো। অর্থাৎ কি না মায়ের পেটে জন্ম নেয় যমজ ভ্রূণ। একটি ভ্রূণ স্বাভাবিক পরিপূর্ণ থাকলেও অন্যটি কার্যত প্যারাসাইট হয়ে যায়। অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে তা ঢুকে পড়ে পরিপূর্ণ ভ্রূণটির মধ্যে। সেখান থেকেই খাবার সংগ্রহ করে।

[গৃহকর্তার লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পরিচারিকা, চাঞ্চল্য ছড়াল মালবাজারে]

ওই প্রসূতির যখন অস্ত্রোপচার হয় তখনও চিকিত্সকরা জানতেন না পেটে ভ্রূণের মধ্যে আরও একটি ভ্রূণ ঢুকে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফিটাস ইন ফিটো মূলত জন্মগত ত্রুটি। অর্থাৎ একটি ফিটাস (হোস্ট ফিটাস),অন্য একটি ফিটাস (প্যারাসাইটিক ফিটাস)-এর ওপর জড়িয়ে বাড়তে থাকে।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,  এমন আজব ঘটনার পরেও শিশুটির মা সুস্থই রয়েছেন।

Advertisement

[বর্ষার মাঝেই ডেঙ্গুর থাবা রাজ্যে, প্রাণহানিতে বাড়ছে আতঙ্ক]

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই শিশুর মায়ের পরিচয় গোপন রেখেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁর বাড়ি নদিয়া জেলাতেই। হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ হালদার জানিয়েছেন, ‘‘ওই প্রসূতির পেট থেকে সিজার করে প্রথমে একটি মৃত শিশুকে বের করে আনা হয়। তখনও জানা ছিল না সেই শিশুটির পেটে আরেকটি শিশু রয়েছে। আলট্রাসোনোগ্রাফি করানোর পর ওই মৃত শিশুর পেটে আর একটি শিশুর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। দেখা যায় সেটিও মৃত।’’

Advertisement

[বেঁচে আছে বোনঝি, স্বপ্নাদেশ পেয়ে কবর খুঁড়ে দেহ তোলার চেষ্টা মাসির]

ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর প্রভাস প্রসূন গিরি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল। পাঁচ লক্ষে একজন প্রসূতির মধ্যে হয়। অ্যান্টি মাদাম আল্ট্রাসাউন্ড প্রক্রিয়ায় মাধ্যমেই একমাত্র শিশুর পেটের মধ্যে এই ভ্রূণের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন ক্ষেত্রে দুটি শিশুর কোনওটিই সাধারণত বাঁচে না। কারণ, দ্বিতীয় শিশুটির দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। শরীরের অঙ্গ ঠিকমত বৃদ্ধি পায় না। শিশুটির মাথা পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রেই তৈরি হয় না। শনিবার অস্বাভাবিক এই ঘটনা শোনার পর ভিড় উপচে পড়েছিল কল্যাণীর হাসপাতালে। 

[বোনকে ধর্ষণ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধর্ষক দাদার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ