Advertisement
Advertisement

Breaking News

টিএমসিপি

ভুয়ো রসিদে কলেজে পড়ুয়া ভরতি, প্রতারণার অভিযোগ TMCP’র বিরুদ্ধে

গোটা ঘটনায় কলেজে ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

Financial fraud in the name of admission in Keshpur college, students stages protest
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 18, 2020 2:38 pm
  • Updated:February 19, 2020 5:43 pm

সম্যক খান, মেদিনীপুর: কেশপুর কলেজে ভরতির নামে আর্থিক প্রতারণায় ফের নাম জড়াল টিএমসিপি নেতাদের। জানা গিয়েছে, ভরতির পর দীর্ঘদিন ক্লাসও করেন প্রতারিত ৬২ জন পড়ুয়া। পরে রেজিস্ট্রশনের সময় কলেজের তরফে জানানো হয় যে, তাঁরা আদৌ ওই কলেজের পড়ুয়াই নয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তবে এ বিষয়ে এখনও কলেজের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর কলেজে ভরতির জন্য কলেজের প্রাক্তন জিএস-সহ বেশ কয়েকজন ছাত্র পরিষদ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ৬২ জন পড়ুয়া। টাকার বিনিময়ে ভরতিও হয়ে যান তাঁরা। নিয়মিত ক্লাসও করেন। এই পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও রেজিস্ট্রশনের সময়ই বিপত্তি। অভিযোগ, সেই সময় কলেজের তরফে ওই পড়ুয়াদের জানানো হয় যে, তথ্য অনুযায়ী তাঁরা ওই কলেজের পড়ুয়াই নন। তাঁদের কাছে থাকা ভরতির রসিদ দেখাতেই প্রকাশ্যে আসে যে টাকার বিনিময়ে যে বিল দেওয়া হয়েছিল তা ভুয়ো। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার পড়ুয়ারা। আদৌ তাঁরা প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরীক্ষার্থী দেখলেই বাসে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে, মাধ্যমিক নিয়ে নির্দেশ শুভেন্দুর ]

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব পডুয়ারা। যাদের কলেজে ভরতির কোনও তথ্যই কর্তৃপক্ষের কাছে নেই, কীভাবে তারা দীর্ঘদিন ক্লাস করলেন? কেনই বা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ল না? উঠে আসছে এহেন একাধিক প্রশ্ন। প্রতারিত পড়ুয়াদের কথায়, কীভাবে এই সমস্যা সমাধান মিলবে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। প্রয়োজনে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পাশাপাশি, ছাত্র পরিষদের যে সকল নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে একাধিকবার চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভরতি নামে আর্থিক লেনদেনে নাম জড়িয়েছিল টিএমসিপি নেত্রী জয়া দত্তের। ঘটনার জেরে পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতেও যে কোনও শিক্ষাই নেয়নি দল, কেশপুর কলেজের ঘটনায় তা প্রমাণিত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাটমানি না পেয়ে কন্যাশ্রীর জন্য দরকারি নথি দিতে অস্বীকার, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাধান ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ