সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: উদ্ধার হল বুলবুলের তাণ্ডবে ফ্রেজারগঞ্জে ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা আরও ২ মৎস্যজীবীর দেহ। শনিবার রাতে ঝড়ের দাপটে ফ্রেজারগঞ্জে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের ৪টি ট্রলার। ঘটনার পরের দিন সকালেই উদ্ধার হয়েছিল ১ জনের দেহ। এখনও নিখোঁজ ৬ জন মৎস্যজীবী।
বুলবুলের মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছিল বাসিন্দাদের। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে শনিবার রাতে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের পাতিবুনিয়া খালে নোঙ্গর করা হয়েছিল প্রায় চল্লিশটি মাছ ধরার ট্রলার। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে তার মধ্যে চারটি ট্রলার জলে ডুবে যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। রবিবার সকালে নিখোঁজ এফবি চন্দ্রানী ট্রলারের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় এক মৎস্যজীবীর দেহ। পরে সোমবার সকালে চিনাই নদীতে দুটি দেহ ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। এরপর সেই দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহ দু’টির একটি শেখ মুজিবর রহমানের। তিনি হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার মাইতির চকের বাসিন্দা। অন্য মৎস্যজীবীর নাম অসিত ভূঁইয়া। তিনি কুলপির নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা। এখনও নিখোঁজ ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলিতে থাকা ৬ জন। তাঁদের খোঁজে এখনও জারি তল্লাশি।
কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি ওই মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের কথা জানান। পুলিশ তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি আদৌ চন্দ্রানী ট্রলারেরই মৎস্যজীবী কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে যে ৪ টি ট্রলার ডুবে ছিল, তার মধ্যে দুটির কোনও তথ্যই পাওয়া যায়নি। সেই ট্রলারটিতে কে কে ছিলেন না কতজন ছিলেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে দ্রুতই নিখোঁজ ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.