Advertisement
Advertisement
বন্যা

শীতের দোসর প্লাবন, কংসাবতীর জলে ঝাড়গ্রামে অকাল বন্যায় দিশেহারা গ্রামবাসীরা

কংসাবতীর মূল ক্যানাল থেকে জল ছেড়ে দেওয়ায় বিপত্তি।

Flash flood hits Jhargram as Kangsabati dam releases water
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 23, 2020 5:36 pm
  • Updated:January 23, 2020 5:36 pm

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: এ যেন অকাল বন্যা। সকালে ঘুম ভেঙে ওঠার পর গ্রামবাসীরা দেখেন, চারিদিক থইথই করছে জল। ঘরের ভিতরে,উঠোনে হু হু করে ঢুকে পড়ছে জল। উনুনে ভরতি জল। ধানের গোলায় মজুত পাকা ধান জলের তলায়। পুরো গ্রাম জুড়ে তীব্র জলের স্রোত। শীতের সকালে আচমকা এই দৃশ্য দেখে থ ঝাড়গ্রামের রাধানগর অঞ্চলের জমিদারডাঙার বাসিন্দারা। তীব্র শীতের মধ্যে এমন প্লাবনে তাঁদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। পরে বোঝা যায়, কংসাবতীর বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়ার ফলেই এই বিপত্তি ঘটেছে।

সাতসকালে মাটির বাড়িগুলিতে এমনভাবে জল ঢুকতে থাকে যে যেকোনও সময় মাটির দেওয়াল ধ্বসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। গ্রামে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ। রাধানগর অঞ্চলের জমিদারডাঙা গ্রামটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। প্রায় পঞ্চাশটি পরিবারের বাস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কংসাবতী মূল ক্যানালে হঠাৎ করে জল ছাড়া হয়েছে। ফলে সেই জল শাখা ক্যানাল হয়ে জমিদারডাঙা গ্রামে ঢুকে পড়েছে। জল ছাড়ার কোনও আগম ঘোষণা ছিল না। তাই শুক্রবার সকাল থেকে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করায় হতভম্ব হয় যান গ্রামবাসীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মালদহে ট্রেনের কামরায় উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জলস্তরও বেড়ে চলে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা। সমানে জল ঢুকতে থাকে মাটির বাড়িগুলিতে। রান্নাবান্না মাথায় ওঠে। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না কেউ। বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় বাচ্চা, বৃদ্ধদের অন্যত্র সরানোর বিষয়টি। গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কংসাবতীর ছাড়া জলে অকাল বন্যায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে গোলার ধান। শূকর ছানা ভেসে গিয়েছে। জল ঘরে ঢুকে দেওয়াল এমন ভিজেছে যে মাটির দেওয়ালগুলি ভেঙে পড়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির কথা ঝাড়গ্রাম জেলা কংসাবাতী ক্যানাল ডিভিশন–৫ দপ্তর জানার পরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই দপ্তরের পক্ষ থেকে মেকানিক্যাল শাখায় খবর দেওয়া হলে বাঁকুড়ার খাতড়া থেকে আধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে জল কমতে থাকে গ্রামে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জিলেটিন স্টিক নিয়ে খেলতে গিয়ে বিপত্তি, বিস্ফোরণে উড়ল শিশুর হাতের আঙুল]

এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা কংসাবতী ক্যানাল ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এস কে দাস বলেন, “মেকানিক্যাল শাখা আমাদের না জানিয়ে গেট খুলে দিয়েছিল। খবর পাওয়ার পরই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খাতড়া থেকে টিম এসে গেট বন্ধ করছে। জল আর আসছে না। পুরো বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” গ্রামের
বাসিন্দা ডাক্তার মুর্মু, রাজেন মান্ডি, লক্ষ্মীমনি সোরেনরা জানান, “গ্রামে বন্যা হয়ে গিয়েছে। ঘরে ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। ধানের গোলায় জল ঢুকছে। গ্রামে এত জল দেখে আমরা সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।”

 দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ