ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস,পুরুলিয়া: নির্বাচন কমিশনের গুঁতোয় প্রায় ৩৩ বছর আগে জারি হওয়া পুরুলিয়া আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হল হুড়ায়। এতদিন সাধুর ছদ্মবেশে কার্যত আত্মগোপন করে লুকিয়েছিল খুনের মামলার ঘটনায় এই অভিযুক্ত। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পুরানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হতেই তার ঠাঁই হল শ্রীঘরে।
[ভিন রাজ্যের নির্বাচনী নালিশ আসছে বর্ধমানের কল সেন্টারে, নাজেহাল কর্মীরা]
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বঙ্কু ওরফে বংশী, ওরফে বংশীধর, ওরফে প্রবোধ মাহাতো। তার আদি বাড়ি হুড়া থানার অর্জুনগোড়া গ্রামে। কিন্তু বর্তমানে ৬৬ বছরের ওই বৃদ্ধ বঙ্কু সাধুর ছদ্মবেশে পুরুলিয়া মফস্বল থানার মাহালিতোড়া গ্রামে এক চিলতে বাড়িতে থাকত। সেখানে সবজি চাষ করত। ১৯৮৬ সালে এই মামলায় জামিনের পর ধৃত বৃদ্ধ আর আদালতে হাজিরা দেয়নি। ফলে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পুরুলিয়া জেলা আদালত। কিন্তু ধৃত তার নিজের এলাকা ছেড়ে সাধুর ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছিল না। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সমস্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমরা কার্যকর করছি। সমগ্র জেলা জুড়েই ওয়ান্টেডদের কে ধরা হচ্ছে।” গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে হুড়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিন জেল হেফাজত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খুনের মামলায় ধৃত সেইসময় নিজে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল। ফলে তার জেল হেফাজত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৬ সালে সে জামিন পায়। ধৃত হুড়া থানার পুলিশের কাছে দাবি করে, সে যে ১৯৮৬ সালে জামিনে ছাড়া পায় তা সে জানত না। তার আইনজীবী তাকে বেকসুর খালাস বলে লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। ধৃত জমি-জমা বিক্রি করে ওই টাকা তার আইনজীবীকে দেয় বলে পুলিশকে জানায়। পুলিশ নিজেদের মত করে ওই আইনজীবীর নামও জেনে নিয়েছে। ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে, তাকে যদি তার আইনজীবি বলত জামিনে সে ছাড়া পেয়েছে তাহলে সে সময়মত আদালতে হাজিরা দিত। তবে পুলিশ ধৃতের এই কথাকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
[অতীতে একসঙ্গে অনুষ্ঠান মুনমুন-বাবুলের, রাজনীতির মঞ্চে এখন প্রতিপক্ষ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.