বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: বছরের আর পাঁচটাদিন দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয় তাঁকে। কিন্তু জামাইষষ্ঠীতে তিনি ভগবান নন বরং হয়ে ওঠেন ঘরের জামাই। ধুতি, পাঞ্জাবিতে সেজে ওঠেন নবদ্বীপের ধামেশ্বর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। বরণের পর দিনভর চলল জামাই আদর।
[উপহার ভরতি ব্যাগ ট্রেনে ফেলেই চললেন ভুলোমন জামাই, বোমাতঙ্কে নাকাল যাত্রীরা]
ঘরের মেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়ার স্বামী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। জামাইষষ্ঠীতে ঘরে ঘরে জামাই আদরের ব্যস্ততা। তখন জামাই আপ্যায়নে সমান ব্যস্ত বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়ির সদস্যরাও। সকাল থেকে তাই গোস্বামী বংশের মহিলারা ভীষণ ব্যস্ত। অন্যান্যদিন দেবতা রূপে পূজিত হন গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু। জামাইষষ্ঠীতে এক্বেবারে ভিন্নরূপী গৌরাঙ্গ। চেনা পোশাকের পরিবর্তে তিনি সেজে ওঠেন জামাইয়ের মতো। পরনে ধুতি, পাঞ্জাবি।
[শ্রীঘর থেকে বেরিয়েই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মার যুবকের, চাঞ্চল্য তারকেশ্বরে]
প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী, জামাইষষ্ঠীর সকালে বিষ্ণুপ্রিয়ার পরিবারের মহিলারা গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে বাতাস করেন। এরপর হয় জামাই বরণ। দুপুরে রকমারি পদ সাজিয়ে হয় জামাই আদর। মোচার ঘণ্ট, কচু শাক, পাঁচমেশালি তরকারি, পনির ডালনা-সহ পঞ্চব্যঞ্জন দেওয়া হয় মহাপ্রভুকে। জামাই বলে কথা, তাই গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে নানা রকমের মিষ্টান্নও ভোগ হিসাবে দেওয়া হয়। যুগের সঙ্গে সঙ্গে দিন বদলালেও, রীতিতে কোনও বদল আসেনি। আজও সমান বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়িতে সমান জামাই আদর পান গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু।
ছবি- সুজিত মণ্ডল