Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণ

দু’দিন পরও তাড়া করছে আতঙ্ক, ঘরবন্দি হাড়োয়ায় নির্যাতিতা কিশোরী

এখনও ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা।

Haroa rape case: still victim is in fear, mother worried about her future

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 19, 2020 9:27 pm
  • Updated:January 19, 2020 9:27 pm

জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: হাড়োয়া কাণ্ডের পর পেরিয়ে গিয়েছে দু’দিন। একাদশ শ্রেণির কিশোরীর চোখে-মুখে এখনও আতঙ্ক স্পষ্ট। বাবা হারানো মেয়েটি কবে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে, ফের কবে পঠন-পাঠন শুরু করতে পারবে তা নিয়ে আশঙ্কায় তার মা। 

শুক্রবার সন্ধেয় হাড়োয়ার এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল হাড়োয়ার মোহনপুর। জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে পুলিশের একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মা। মেয়েকে নিয়েই তাঁর বেঁচে থাকা। স্বপ্ন ছিল বাবা হারানো মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে নিজের পায়ে দাঁড় করাবেন। তাই সামর্থের বাইরে গিয়েও মেয়েকে সবটুকু দেওয়ার চেষ্টা করতেন। লেখাপড়াও শেখাচ্ছিলেন মেয়ে। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনার পর মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ওই মহিলা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মনুয়া কাণ্ডের ছায়া ঘুসুড়িতে, স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্ত্রী ও প্রেমিক]

আদৌ মেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে সুস্থভাবে পঠন-পাঠন করতে পারবে কি না। পারলেও কবে থেকে পারবে দিনভর সে কথাই ভেবে চলেছেন নির্যাতিতার মা। ঘটনার পর ঘর থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছে ওই কিশোরী। আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কিশোরীর বান্ধবীদেরও। তারা একা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে৷ এক ছাত্রী কথায়, পুলিশ মানেই এখন তাদের কাছে আতঙ্ক। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে প্রতিবেশীরা। তাঁদের প্রশ্ন, যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তারাই যদি ভক্ষক হয়ে ওঠেন মেয়েরা কীভাবে রাস্তায় বের হবে? সেইসঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

Advertisement

যদিও এই ঘটনার পর পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে ভরসা যোগানোর চেষ্টা করছেন। গ্রামে পুলিশি টহল রয়েছে। কিশোরীর স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও তাতে আপত্তি জানিয়েছেন অন্য পড়ুয়ারা। পুলিশ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায় তাঁরা। ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। সব মিলিয়ে এখনও থমথমে এলাকা। তবে বসিরহাটের পুলিশ সুপার শংকরপ্রসাদ বাড়ি জানান, হাড়োয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্ত এসআইকে রবিবার আদালতে তোলা হলে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছন বিচারক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ