Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্কুলে নেতাজির জন্মদিবস পালনে গড়িমসি, শো-কজ প্রধান শিক্ষিকাকে

অন্য অনুষ্ঠানে ছাত্রদের নিয়ে প্রভাতফেরির আয়োজন।

Head teacher to show cause
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 25, 2019 9:04 pm
  • Updated:January 25, 2019 9:04 pm

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীর দিন অনুষ্ঠানে গড়িমসি। বুধবার খুদে পড়ুয়ারা স্কুলে ফুল নিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের মধ্যে তাগিদ ছিল না। বেশ কয়েকঘণ্টা অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায় তারা। পাশে আইসিডিএস সেন্টারেও হয়নি কোনও অনুষ্ঠান। পরেরদিন কৃষিমেলার অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রভাতফেরির আয়োজন করেন ওই স্কুলের শিক্ষিকারাই। তাতেই ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। জেলা আধিকারিক প্রধান শিক্ষিকাকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘটনাটি শ্যামপুর থানার বাড়গড়চুমুক এলাকার পশ্চিম গড়চুমুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

[লোকসভার মুখে বিজেপির ব্রিগেড, এপ্রিলে মোদির মেগা ইভেন্ট]

স্কুলের অভিভাবক সৌমিত্র হাজরা জানান, এলাকায় পশ্চিম গড়চুমুক প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও আইসিডিএস-র একটি সেন্টার আছে। দুই জায়গায় ছোট শিশুরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, উভয় ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় খুদেরা নেতাজির জন্মদিন পালনের সুযোগ পায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে কৃষিমেলার অনুষ্ঠানে যান প্রধান শিক্ষিকা সুলেখা দাস এবং আইসিডিএস-এর শিক্ষিকা ললিতা মণ্ডল। শুধু তাই নয়। ওই বেসরকারি অনুষ্ঠানের প্রভাতফেরিতে ছাত্র-ছাত্রীদেরও শামিল করেন শিক্ষিকারা। তাতেই আরও খেপে যান অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ভিড় করেন। কেন নেতাজির জন্মদিন পালন হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। অভিভাবকরা প্রশ্ন তোলেন, নিজেদের স্কুলে ভারতমাতার বীরসন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী আয়োজন করতে পারে না। তারা আবার বেসরকারি অনুষ্ঠানে খুদে পড়ুয়াদের শামিল করার সাহস পান কীভাবে। গোটা বিষয়টি অভিভাবকদের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। 

Advertisement

[একইসঙ্গে পঞ্চকন্যার মা হলেন বধূ, শোরগোল কোচবিহারে]

বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে এনিয়ে অভিযোগ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা সুলেখা দাস ছুটিতে আছেন। তাঁকে ফোন করা হলে অন্য এক ব্যক্তি ফোন ধরে জানান, সুলেখা দেবী অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন না। অভিভাবকদের ক্ষোভ তাতেও কমেনি। এরপর গোটা ঘটনা শোনেন শ্যামপুর-২এর ব্লক আধিকারিক সুব্রত ঘোষ। তিনি জানিয়ে দেন, ওই প্রধান শিক্ষিকা সুলেখা দাসকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন আধিকারিকরা। ওই স্কুল এবং আইসিডিএস সেন্টার কর্তৃপক্ষের কোনওরকম গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক তুষার সিংলা জানান, এই ধরনের ঘটনা কখনও কাম্য নয়। বিষয়টি তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ