স্টাফ রিপোর্টার: অশনি সংকেত! রাজ্যের আকাশে ফের ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। যার দাপটে আগামী ২৪ ঘণ্টায় গোটা রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। আর তাতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে বানভাসি এলাকা। এই খবরে সতর্ক নবান্নও। আগাম বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[‘দেখলাম বাবার চোখে জল’, বহিষ্কারের সেদিনের কথা স্মরণ সোমনাথ-কন্যার]
আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই ঠিক একই রকম একটি নিম্নচাপের জেরে ভেসেছিল দক্ষিণবঙ্গ। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকা। এক দিনে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বর্ষণে বাঁকুড়া শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলের তোড়ে ভেসে যায় পাকা বাড়ি। সেই কারণে উপকূলের জেলাগুলির প্রশাসনকে বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
[‘বিনিয়োগের গন্তব্য এখন বাংলা’, লগ্নিকারীদের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর]
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার অবস্থান ওড়িশা সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর। পাশাপাশি ডালটনগঞ্জ-জামশেদপুর হয়ে নিম্নচাপের কেন্দ্র ছুঁয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এই জোড়া ফলা আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গকে ভোগাবে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। দপ্তরের এক আবহাওয়াবিদের কথায়, কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, নিম্নচাপের জেরে বেশি বৃষ্টি পাবে পড়শি রাজ্য ওড়িশা। এছাড়া উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল হবে সমুদ্র। ফলে উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
[মেয়ো রোডের সভায় সিন্ডিকেট নিয়ে আক্রমণ, অমিতকে নোটিস অভিষেকের]
আগস্টের শুরুর দিকে সুস্পষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে। আর তাতেই বানভাসির চেহারা নেয় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। এ পরিস্থিতিতে নতুন নিম্নচাপের খবর। শক্তি বাড়িয়ে সেটি দুর্যোগ আনে না স্বস্তি দিয়ে অন্যত্র চলে যায় এখন সেদিকেই নজর রাখছে হাওয়া অফিস। তবে টানা বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে কৃষিজীবী মানুষের মুখে। আগস্টের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে পূরণ হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টির ঘাটতি। ফলে বহু এলাকায় পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে চাষ। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি এখনও পূরণ হয়নি।