Advertisement
Advertisement
ঘোড়া

এক্কা টানতে অক্ষম পুরসভার অসুস্থ ঘোড়া, মার খাচ্ছে পুরুলিয়ার পর্যটন

চুক্তির ভিত্তিতে পর্যটনের ক্ষেত্রে এই ঘোড়ার গাড়ি চালায় পুরসভা।

Illing horses hits tourism in West Bengal’s Purulia districts
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 19, 2019 4:02 pm
  • Updated:June 19, 2019 4:16 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: থমকে গেল এক্কা গাড়ির চাকা! পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের পাশে এক্কা গাড়িতে চড়িয়ে আর পর্যটকদের আনন্দ দিতে পারবে না রাজা-রানি। প্রচন্ড গরমে শরীরে রোদ লেগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর, জ্বরের মধ্যেও যাত্রী নিয়ে ছুটছিল রানি। পাশেই ছিল তার সঙ্গী রাজা। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সাহেব বাঁধের পাশে সাউথ লেক রোডে আচমকা পড়ে যায় রানি। ভেঙে যায় তার ডান পা। তারপর থেকেই পুরুলিয়া পুরসভার তত্ববধানে চলা এক্কা গাড়ি বা টমটম বন্ধ হয়ে গেল। ফলে হতাশ এই শহরের মানুষজন। পর্যটকরাও বঞ্চিত হচ্ছেন শহরের অন্যতম আকর্ষণ থেকে।

আসলে সেই ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে সাহেব বাঁধের চারপাশ জুড়ে এক্কা গাড়িতে যাত্রী নিয়ে ছুটত রাজা-রানি নামে দুই ঘোড়া। ব্যবসা যেমন হত, তেমনই এই শহরে এই ঘোড়ার গাড়ি একটা বিনোদন হয়ে গিয়েছিল। সাহেব বাঁধের পাশে রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে ছোটার সময় রাজা-রানি চোখ টানত সকলের। কিন্তু আচমকা রবিবারের রাতে রানির পা ভেঙে যাওয়ায় সকলেই পুরসভাকে দুষছে। পুরুলিয়ার পুরপ্রধান শামিম দাদ খানের অবশ্য দাবি, “এটা একটা অঘটন, দুর্ঘটনা। ওই ঘোড়াকে সুস্থ করতে আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব শীঘ্রই ঘোড়াটিকে লরিতে করে কলকাতার বেলগাছিয়া প্রাণী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: শিল্পের বদলে আবাসন প্রকল্প, বোলপুরে জমি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন কৃষকদের ]

Advertisement

রবিবার রাতে রানি পড়ে গিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তেই রাজার চোখ ছলছল করে ওঠে। তাকে কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে সরিয়ে নিলেও রানিকে পুরসভার অস্থায়ী আস্তাবলে নিয়ে যেতে প্রায় রাত দু’টো বেজে যায়। পুরসভা থেকে চিকিৎসক আনিয়ে  ইনজকেশন দেওয়া হয়। দেওয়া হয় স্যালাইনও। প্রাণী চিকিৎসক অবনীশ বিশ্বাস বলেন, “ওই ঘোড়ার ডান পা ভেঙে গিয়েছে। ব্যথার ওষুধ দিয়েছি।”

পুরসভা সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ দিন রাজা-রানি বসেই ছিল। ঘোড়ার গাড়ি মেরামতি চলছিল, তাই ছুটতে হয়নি।  রবিবারই গাড়ি নিয়ে সাহেব বাঁধের পাশে ফের ছোটা শুরু করেছিল ঘোড়া দুটি। পরপর দু’বার যাত্রী নিয়ে চক্কর কাটার পরেই রাতের বেলাতেই ছন্দপতন। অভিযোগ টানা ছাব্বিশ দিন তারা আস্তাবলে থাকলেও তাদের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। তারা সুস্থ রয়েছে কিনা তা জানতে কখনই চিকিৎসক আনা হত না। এই দুই ঘোড়ার সহিস এলাহাবাদের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা গুড্ডু শাহ বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। দুটি ঘোড়াই সবসময় আমাদের নজরে থাকত। রানি যে এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে তা ভাবতেও পারিনি। তাহলে ওকে দিয়ে গাড়ি ছোটাতামই না।”

কলকাতার একটি কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পুরুলিয়া পুরসভা এই এক্কা গাড়ি চালায়। পুরপ্রধানের কথায়, “আমাদের সঙ্গে আগামী মার্চ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। ফলে এক্কা গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। শুধু রানিকে আপাতত পাওয়া যাবে না।”

ছবি- সুনীতা সিং

[ আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পের ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে হুমকি পোস্টার, চাঞ্চল্য আউশগ্রামে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ