Advertisement
Advertisement
Inter clash between BJP worker

পার্টি অফিসে ভাঙচুর-গাড়িতে আগুন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বর্ধমান

অরবিন্দ মেনন ও বাবুল সুপ্রিয়র সামনে আসানসোলেও গোষ্ঠীকোন্দলে জড়ান বিজেপি কর্মীরা।

Inter clash between BJP worker in Burdwan ।Sangbad Pratidin

ছবি: মুকুলেসুর রহমান

Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 21, 2021 4:33 pm
  • Updated:January 21, 2021 5:13 pm

সৌরভ মাজি ও চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়: বিজেপির (BJP) গোষ্ঠীকোন্দলে বর্ধমানে তুমুল অশান্তি। জেলা বিজেপি কার্যালয়ে পুরনো এবং নতুন কর্মীদের মধ্যে ইটবৃষ্টি। মুহূর্তের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতেও। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

সূত্রের খবর, বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর অপসারণের দাবিতে সরব বিজেপির একটি গোষ্ঠী। তাঁদের অভিযোগ, বর্ধমান সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উদ্বোধন করা দলীয় কার্যালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিজেপির পুরনো কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, নতুন কর্মীরা ওই দলীয় কার্যালয়ের ছাদ থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পালটা ইট ছুঁড়তে থাকে। ভেঙে যায় পার্টি অফিসের জানলা। দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জিটি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তার উপরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়িগুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান (Burdwan) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেওয়া হয়। দমকল অগ্নিকাণ্ড সামাল দেয়। 

Advertisement

দেখুন ভিডিও:

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৃণমূলের ভোট কার্ড’, প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর]

এদিকে, বর্ধমানের মতো বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল আসানসোলও (Asansol)। বৃহস্পতিবার বিজেপি জেলা কার্যালয়ে বারাবনি ও কুলটি মণ্ডলের কর্মীদের বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন অরবিন্দ মেনন ও বাবুল সুপ্রিয়। তাঁদের সামনেই গোষ্ঠীকোন্দলে জড়ালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বৈঠক চলাকালীন বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সদ্য সভাপতি অরিজিৎ রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধিতা শুরু হয়। গেরুয়া শিবিরের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি বিজেপি জেলা যুব মোর্চার ঘোষিত কমিটিতে বাদ পড়েছেন অনেকেই। যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁরা পুরনো বিজেপি কর্মী। কিন্তু তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে নব্য-পুরাতন বিজেপি যুব মোর্চার মধ্যে বিবাদ বাঁধে। গোষ্ঠীকোন্দলের খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই জেলা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের তীব্রতাতেই সে খবর ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। শেষ পর্যন্ত মাইক হাতে নিয়ে বাবুল ও অরবিন্দ মেনন পরিস্থিতি সামাল দেন। শুরু হয় বৈঠক। 

Babul Supriyo

[আরও পড়ুন: করোনার টিকা নিয়ে দুর্গাপুরে অসুস্থ ৩ স্বাস্থ্যকর্মী, ভরতি হাসপাতালে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ