নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: মন্দির তৈরিতে বাধা দেওয়ায় মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বৃদ্ধা। তারই জেরে তাঁকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আহত বৃদ্ধা কাটোয়ার মুলগ্রামের বাসিন্দা অহল্যা ঘোষ বর্তমানে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সোমবার ফের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক পুলিশকে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়ার মুলগ্রামের বাসিন্দা অহল্যাদেবী। স্বামী সাধন ঘোষ ছিলেন পেশায় ছোট চাষি। বছর দু’য়েক আগে তিনি মারা যান। অহল্যাদেবীর তিন ছেলেই পৃথক থাকেন। স্বামীর ভিটায় ছোট একটি ঘরে থাকেন বিধবা অহল্যাদেবী। সাধনবাবু বাড়ির এক শতক জায়গা তার স্ত্রীকে দিয়ে গিয়েছিলেন। অহল্যাদেবী প্রথম থেকেই পুজোর্চনা নিয়ে থাকেন। তাই সাধনবাবু ঠাকুর ঘর নির্মাণের জন্য সব মিলিয়ে ৪ শতক অর্থাৎ দুই কাঠা জায়গা রয়েছে রাধামাধববের নামে। যার সেবাইত অহল্যা ঘোষ।
[আঠাশ বছর নিখোঁজ, নাতনির অন্নপ্রাশনে ঘরে ফিরলেন উর্মিলার স্বামী]
অহল্যাদেবী বলেন, “ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণ করতে গেলে গ্রামেরই বাসিন্দা ৬ জন আমাকে বাধা দিচ্ছে। এনিয়ে আমি গত সপ্তাহে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তার জেরে মধুসুদন ঘোষ, তপন ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শংকর ঘোষ, বানু ঘোষ ও খুদু ঘোষ এই ক’জন মিলে তাকে হুমকির পাশাপাশি মারধর করে।” এর আগে তাকে ভয় দেখানো হয়েছে বলে তিনি মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। নিজের গোপাল মূর্তি নিয়ে তাঁর দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন। প্রশাসনের কাছে তাঁর আরজি ছিল নিজের জায়গাতে তিনি যাতে আরাধ্যের মন্দির তৈরি করতে পারেন তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হোক। কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেছিলেন অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অহল্যাদেবীর অভিযোগ, রবিবার রাতে অভিযুক্তরা তাঁর ঘরে চড়াও হয়ে মারধর করে। হুমকি দেয়, অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ঘটনার পর কয়েকজন প্রতিবেশী অহল্যাদেবীকে রাতেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
[শারীরিক সম্পর্কে অক্ষম স্বামী, ছেলেকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী স্ত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.