সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসকদের কর্মবিরতির মধ্যেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি শিশুর মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি নিজেই। কিন্তু নোংরা রাজনীতির জন্য কাজ হয়নি সেই টাকায়। পরিকাঠামোর উন্নতি হলে, শিশুটিকে বাঁচানো যেত বলে মত কুণাল ঘোষের।
সাগর দত্ত মেডিক্যালে একটি শিশুমৃত্যু ঘিরে একদিন আগে থেকেই চাপানউতোর চলছে। হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ভেনটিলেটর না থাকায় ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তরের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু, তার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের দাবি, ২০১৩ সালে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেন তিনি। কিন্তু, এর পরই তাঁর সঙ্গে শাসক শিবিরের দূরত্ব তৈরি হয়। যার জেরে আর ওই টাকায় কোনও কাজ করানো হয়নি। ২০১৮ সালে সেই টাকা ফেরত পাঠানো হয়।
ফেসবুকে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ লেখেন, “এই হাসপাতালের উন্নয়নে আমি MPLAD তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। ২০১৩ সালে টাকা গেছিল। পাঁচ বছর টাকা ফেলে রেখে ২০১৮ সালে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়। যে হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য ভেনটিলেটর নেই, তারা কোন কারণে টাকা ফেরায়? যদি এই টাকায় এসব কেনা যেত, তাহলে হয়তো বাচ্চাটি বাঁচতেও পারত। সরকারি দলের সঙ্গে আমার দূরত্বের কারণে আমার সাংসদ তহবিলের টাকায় মানুষের কাজ করা হবে না, এটা কুৎসিত রাজনীতি। কেন এই টাকা ফেরত দেওয়া হল? এখনকার অধ্যক্ষা খুব বিস্তারিত জানেন না। একবার বললেন, স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ ছিল টাকা ফেরতের। একবার বললেন, শুনেছিলেন লাইব্রেরি হবে। তার গাইডলাইন না থাকায় কাজ হয়নি। অন্য সিনিয়রদের কাছ থেকেও শুনলাম রোগীকল্যাণ সমিতিতে একাধিকবার বিষয়টি আলোচিত হয়েছিল। ঠিক হয় টাকা ফেরত হবে। রোগী কল্যাণ সমিতির আগের কর্তা মদন মিত্র, এখন তাপস রায়।”
স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধেই রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমা নিয়ে জল্পনা ছড়ালেও শাসকদলের একাধিক নেতার উপর তাঁর এখনও ক্ষোভ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.