সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেঙ্গুর মারণথাবা রাজ্যের বুকে চেপে বসার খবর প্রচারিত হওয়ার পরই নড়চড়ে বসল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী, পরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্যে বিস্তর অপপ্রচার হচ্ছে, তাতে কান না দেওয়াই ভাল। তবে ডেঙ্গু হচ্ছে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। তাই শরীরের যত্ন যেন নেন রাজ্যবাসী, চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[ বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, প্রতিরোধের উপায় জানেন তো? ]
এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় বিগত ৭-৮ মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩০। অন্যদিকে লখনউতে এই সংখ্যা ১৪১, দিল্লিতে ২১ ও তামিলনাড়ুতে ৪০। গুজরাটে সোয়াইন ফ্লুতে ৪৩৭ জন মারা গিয়েছে। সেই তুলনায় বাংলার অবস্থা অনেক ভাল। দেগঙ্গায় ডেঙ্গু প্রকোপে ঘরছাড়া হয়েছেন মানুষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, গুজবের জেরেই এই কাণ্ড। তবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে রাজ্যে এ কথা তিনি অস্বীকার করেননি। তাই রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। জল জমার বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন। শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা কিছু কিছু অঞ্চলে নিয়মিত পরিষ্কারের অনুমতি মেলে না। কোথাও কোথাও মেট্রোর কাজ চলছে। ফলে জল জমার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণেই বিধাননগরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। তবে তাঁর দাবি, রাজ্যে ডেঙ্গু নিয়ে অতিরঞ্জিত অপপ্রচার চলছে। এতে কান না দেওয়াই ভাল। তাঁর দাবি, যে কোনও মৃত্যুকেই ডেঙ্গু বলে চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিকেও দায়িত্ববান হতে আরজি জানান। তাঁর দাবি, অনেক সেন্টারই ব্যবসায়িক স্বার্থ মাথায় রেখে ডেঙ্গু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন। তাতে প্যানিক ছড়াচ্ছে। আরও মানুষ টেস্ট করাচ্ছে, চিকিৎসায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এরকম বেশ কিছু ডায়নস্টিক সেন্টারকে চিহ্নিতও করা হযেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আরজি, এই বিষয়ে সাধারণ মানুষ যেন সতর্ক থাকেন। অজানা জ্বরের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময় প্রতি বছরই জ্বর হয়। এ বিষয়েও জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। রাজ্যের সর্বত্র সচেতনতা প্রচার ও পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিকে মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা নেওযার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
[ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে সিআইডির নোটিস ঋতব্রতকে ]