সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে উলুবেড়িয়ার মেদিনীপুর খালের প্রায় ৩০ ফুট এলাকায় নামল ধস। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি বিলীন হয়ে গিয়েছে খালে৷ ফাটল দেখা দিয়েছে আরও কয়েকটি বাড়িতে। ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে দুর্গতদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে খালের পার বাঁধানোর কাজ।
কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে জল থইথই চারিপাশ। কার্যত ঘরবন্দি অবস্থায় রাজ্যবাসী। একই অবস্থা উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায়। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবারই উলুবেড়িয়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আমানত পাড়ার মেদিনীপুর খালের পাড়ের ঢালাই রাস্তায় বিরাট ফাটল দেখা দেয়। শুক্রবার থেকে সেই ফাটল একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ফাটল বাড়তে থাকায় আতঙ্কে খাল পাড়ের বাসিন্দারা রাতেই বাড়ির জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এরই মাঝে শনিবার প্রায় ৩০ ফুট এলাকা খালের গর্ভে হারিয়ে যায়। সেই সময় শেখ শহগত ও শেখ লিয়াকত নামে এলাকার দুই বাসিন্দার বাড়িও খালে মিশে যায়। ফাটল ধরে আরও কয়েকটি বাড়িতে। যার মধ্যে শেখ মনু নামের এক বাসিন্দার বাড়িও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ পরেই শেখ মনুর মেয়ের বিয়ে। কিন্তু বিয়ে পর্যন্ত আদৌ মাথার উপর ছাদ আস্ত থাকবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত গোটা পরিবার। যদিও পুরসভার পক্ষ থেকে সেচ দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হলে রবিবার সকাল থেকেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে গিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস-সহ অন্যান্যরা। দুর্গত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। অভয়বাবু বলেন, ‘‘সেচ দপ্তরকে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ দুর্গত মানুষদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির প্রকোপ কমে আসায় বড় রকম বিপর্যয়ের আর কোনও শঙ্কা নেই বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.