রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: মানুষখেকো চিতাবাঘকে নিয়ে চিন্তিত বনদপ্তর৷ তাকে ধরতে তাই মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানে খাঁচা পাতলেন কর্মীরা৷ রেডিও কলার পরিয়ে ওই চিতাবাঘের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে চান কর্মীরা৷
বুধবার বিকেলে এই চা বাগানে ৫ বছর বয়সি একটি শিশুকে খুবলে খেয়েছিল চিতাবাঘ। চিতাবাঘ সাধারণত কোন ছাগল বা ছোট প্রাণীকে আক্রমণ করে। কিন্তু আচমকাই মানব শিশুর উপর চিতাবাঘের এই হামলায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন গোটা রাজ্যের বনকর্মীরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “ আমরাও এই ঘটনায় অবাক হয়ে যাচ্ছি। সেই কারণে মানুষখেকো এই চিতাবাঘকে নিয়ে আমরা গবেষণা করতে চাই। তাই চিতাবাঘকে ধরে তার গলায় রেডিও কলার পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ ইতিমধ্যেই ধুমচি পাড়া চা বাগানে ছাগলের টোপ দিয়ে মোট তিনটি খাঁচা পাতা হয়েছে।
[দুধের শিশুকে খুবলে খেল চিতাবাঘ, তাজ্জব বনদপ্তরের আধিকারিকরা]
গত ১৩ অক্টোবর একতা ছেত্রী নামে এক শিশুকে একই কায়দায় চিতাবাঘ আক্রমণ করেছিল। ওই শিশুর গলায় কামড়ে ধরেছিল চিতাবাঘ। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ওই শিশুটি। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ফের আরেকটি শিশুকে আক্রমণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা৷ আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা অমল দত্ত বলেন, “ছোট জন্তু শিকারের জন্য চিতাবাঘ মাঝেমধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে চা বাগানে আশ্রয় নেয়। মানুষের ভিড়ে ভয় পেয়েই হয়তো মানব শিশুর উপর চিতাবাঘ আক্রমণ করছে৷ এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা সত্যিই দরকার।” তবে মানব শিশুকে আক্রমণের মতো ঘটনা যে এক্কেবারেই স্বাভাবিক নয়, তা স্বীকার করেছেন তিনি।
[রেলগেট খোলা থাকাকালীন ফের স্টেশনে ঢুকল ট্রেন, শ্যামনগরে উত্তেজনা]
ন্যাফের কর্নধার অনিমেষ বোস বলেন, “মানব শিশুকে আক্রমণের এই ঘটনা অবশ্যই অস্বাভাবিক৷’’ হাতি-মানুষের সংঘাতের পর এখন চিতা-মানুষের সংঘাত চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার প্রধান সমস্যা হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনা নিয়ে সর্বস্তরে ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন বলেই দাবি তাঁর৷