রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ব্যবধান দিন দশেকের। বড়দিনের সকালে ফের চিতাবাঘ ধরা পড়ল আলিপুরদুয়ারের ধুমচিপাড়া চা বাগানে, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন সকালে খাঁচার ভিতরে বাঁশ ও লাঠি ঢুকিয়ে চিতাবাঘটিকে আক্রমণও করেন তাঁরা। এর আগে রবিরার ভোরে এই ধুমচিপাড়া চা-বাগানে বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়েছিল চিতাবাঘ। বনবিভাগের আধিকারিকদের অনুমান, ধুমচিপাড়া চা বাগান লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়েছে একাধিক চিতাবাঘ।
চলতি মাসে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া-মাদারিহাট ব্লকের ধুমচিপাড়া চা বাগানের চিতাবাঘের হামলার প্রাণ গিয়েছিল ৫ বছরের এক শিশুর। চা বাগানের কর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে ১২ নম্বর লাইনে খেলা করছিলেন ইদেন নায়েক নামে একটি শিশু। আচমকাই একটি চিতাবাঘ এসে তাকে ধরে ফেলে। গলায় কামড়ে শিশুটিকে চা- বাগানের ভিতরে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা যখন তাড়া করেন, তখনই শিকারকে ছাড়েনি সে। মিনিট পাঁচেক পর ইদেনকে ফেলে পালিয়ে যায় বাঘ। মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ইদেন নায়েককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার রীতিমতো তাজ্জব বনে যান বন দপ্তরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, ছাগল বা ছোট প্রাণীকেই সাধারণত শিকার করে চিতাবাঘ। কিন্তু মানবশিশুর উপর হামলার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। ঘাতক চিতাবাঘটিকে ধরতে ধূমচিপাড়া চা বাগানে চারটি খাঁচা পাতে বন দপ্তর। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে খাঁচায় ধরে পড়ে চিতাবাঘ। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ঘাতক চিতাবাঘটিকে ধরা পড়লেও, ধুমচিপাড়া চা বাগানে খাঁচা পাতা ছিল। মঙ্গলবার, বড়দিনে সকালে আরও একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে। এদিকে গত রবিবার সাতসকালে আবার ধুমচিপাড়া চা বাগান লাগোয়া রামঝোলা চা বাগানে একটি বালককে তুলে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেয়েছে চিতাবাঘ।
দেখুন ভিডিও:
[ গোয়ালে ঢুকে পড়ার শাস্তি, অবলা ষাঁড়কে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা]